ফরহাদ আমিন, টেকনাফ(কক্সবাজার) : [২] বাংলাদেশে বিয়ে করতে মাল সামানা বেশি দিতে হয়।কিন্তু এত টাকা পাবো কোথায়।মা নেই, বাবা নেই। মালয়েশিয়াতে পরিচিত অনেকে আছে।
[৩] ভেবেছিলাম, ওখানে গিয়ে তাদের কাউকে বিয়ে করে ফেলবো। কাজ নয়, বিয়ে করতেই মালয়েশিয়া যাচ্ছিলাম।ফেরত আসা রোহিঙ্গা নারী হতিজা বেগম এমনটাই বললেন।
[৪] উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ট্রলারে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিলেন হতিজা বেগম।কিন্তু মালয়েশিয়া সীমান্তে পৌঁছে ও ভাগ্য জুুতে নাই ভালবাসার পাত্রের কাছে পৌঁছার।কিন্তু সেদেশে কড়াকড়ির কারনে ঢুকতে না পেরে এখানে ফিরে আসি।সাগরে এত দিন ভাসমান ছিলাম।ট্রলারে২৮জনেরপ্রাণহানি হলেও তিনি বেঁচে যান।তিনশতাধিকের বেশি উদ্ধার করে কোস্টগার্ড,বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা রাতে টেকনাফ জেটিতে নিয়ে আসেন।
[৫] সেখানেই তার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।ধারণা করা হচ্ছে, ট্রলারে প্রায় ৪শ'জন রোহিঙ্গা ছিলেন।এরমধ্যে নারী সংখ্যা অর্ধেক। নারীদের অনেকেই বিয়ের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন।
[৬] খোঁজ নিয়ে জানা যায়,মালয়েশিয়ায় একদল রোহিঙ্গা যুবকের বিয়ের প্রলোভনে পড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিচ্ছিলেন তারা।
[৭] হতিজা বেগম আরো বলেন,আমার অনেক আত্মীয় এর আগে মালয়েশিয়া গিয়েছে।কিন্তু তাদের সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ নেই।
[৮] টেকনাফ কোস্টগার্ডের স্টেশন ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম সোহেল রানা বলেন,উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা সবাই একটি জাহাজে করে কিছুদিন আগে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রা করেছিল।কিন্তু নানাভাবে চেষ্টার পরও তারা মালয়েশিয়া ভিড়তে না পারায় বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা।নানা প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব রোহিঙ্গাদের ইউএনএইচসিআর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহেমদ