স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : [২] বিশ^ব্যাপি করোনা ভীতির কারণে নগর ও গ্রামীণ জীবনে নেমে এসেছে স্তবিরতা। এবছর অনেকটা হাহাকার নিয়ে পহেলা বৈশাখের দিনটি বাঙালিরা কাটাচ্ছেন ঘরে বসে। এদিন ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়তে যে উৎসবের রঙ ছড়াতো মৌলভীবাজারের অলিগলিতে এবার তা ধোঁয়াটে।
[৩] মৌলভীবাজারের গোটা জেলা জুড়ে চলছে বৈশাখের তীব্র দাবদাহ। শুধু মৌলভীবাজার নয় সারাদেশে থেকে এবছর উধাও হয়ে গেছে বাংলা নববর্ষ-১৪২৭ উৎসব আনন্দ।
[৪] প্রতিবছর ঝড়-বৃষ্টি-খরা যতই প্রতিকূলতা থাকুক। পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ নববর্ষ বরণের প্রতিশ্রুতি চলতো এক মাস আগে থেকেই। নববর্ষের প্রথম দিন ঘরবন্দী রাখা যেতো না কাউকে। আনন্দ ভাগাভাগিতে মেতে উঠতো বাঙালি মন। জেলাজুড়ে যানজটে হেঁটেচলা মনেও ছিল উৎসবের আমেজ। কিন্তু এবছর মৌলভীবাজারের পথে পথে নেই রঙ, ফুল আর মানুষের মিলন মেলা। ফুলের দোকানগুলো বন্ধ পড়ে আছে। নেই ঢাক-ঢোল আর বাঁশির আওয়াজ। নেই রঙ-বেরংয়ের শাড়ি-পাঞ্জাবি পরা নর-নারীর কোলাহল। পুরো জেলা জুড়ে এ যেন একটা বিষাদের সুর।
[৫] মৌলভীবাজারের বর্ষবরণে ঐতিহ্যবাহী সংগঠনগুলো স্কুল কলেজের এমন দৃশ্য কয়েক যুগ ধরে কেউ দেখেননি। সংস্কৃতিক মনা মানুষরা আজ নিঃসঙ্গ সময় কাটাচ্ছেন।
[৬] রাস্তাঘাটে নেই কোনো কোলাহল, নেই উৎসবের আমেজ। একই দৃশ্য জেলা সদরসহ সাংস্কৃতিক দিক থেকে অগ্রসর শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, কমলগঞ্জ,বড়লেখা উপজেলা শহরগুলোতে। কোথাও নেই তারুণ্যের ভিড়, উৎসবের আমেজ, পান্তা-ইলিশ, পিঠাপুলি আর নৃত্য ও গানের কোনো কোন আসর।
[৭] পহেলা বৈশাখের আয়োজনের সাথে সম্পৃক্তরা জানিয়েছেন, সরকারিভাবে সব অনুষ্ঠান বাতিলের নির্দেশনার পর তারা নববর্ষের সকল অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। এবারের নিরানন্দের নববষর্েৃর দিনে সবার মনে একই প্রার্থনা, বিশ^ থেকে দূর হয়ে যাক করোনার মহামারি। আগামী বছরের পহেলা বৈশাখ নিয়ে আসুক অনাবিল আনন্দের বার্তা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :