মাজহারুল ইসলাম : [২] করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় নববর্ষ উদযাপনের সকল আয়োজন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল চীন। ধীরে ধীরে করোনা ছড়িয়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশে। আনন্দ-বিনোদনের সব আয়োজন গুটিয়ে ঘরবন্দি হয়েছে সকল ধর্ম, বর্ণ, জাতির মানুষ। করোনাকে এড়িয়ে জীবনরক্ষার এটাই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। ডয়েচে ভেলে
[৩] বাংলাদেশেও বড় আতঙ্ক হয়ে উঠেছে করোনা ভাইরাস। আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। জীবনকে সামাজিক দূরত্বের শৃঙ্খলে আরো কঠোরভাবে আবদ্ধ করা এখন আরো দরকার।
[৪] সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক বিনোদনের বিভিন্ন আয়োজন থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানও হয়েছে স্থগিত, তিন দফায় বেড়েছে ছুটি, মসজিদ-মন্দিরসহ সব উপাসনালয়ে না গিয়ে সরকারি নির্দেশ মেনে ঘরেই উপাসনা শুরু করেছে ধর্মানুরাগী মানুষ৷ ১৪২৭ সালকে সেই নিয়ম মেনেই বরণ করতে চলেছে বাঙালি।
[৫] সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ছায়ানটের উদ্যোগে রমনার বটমূলে এসো হে বৈশাখ এসো এসো'' গেয়ে শুরু হবে না নববর্ষ উদযাপন। চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাও বের হবে না এবার। শহর-গ্রামের নানা প্রান্তে বসবে না বৈশাখী মেলা। বরং অতি উৎসাহী কেউ যাতে নববর্ষ উদযাপনে বেরিয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
[৬] এমন পহেলা বৈশাখ কখনোই দেখেনি বাংলাদেশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসেছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে, ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণও গেছে বহু মানুষের, তবু এতদিন প্রতি পহেলা বৈশাখে প্রাণের টানে নববর্ষ উদযাপনে বেরিয়ে পড়েছে মানুষ।
[৭] করোনা সংকটে সারাবিশ্ব এখন উৎসবহীন। বাংলাদেশেও থাকছে না আয়োজনের ঘনঘটা। তবে ঘরে বসে যেভাবে অফিসের কাজ চলছে, উপাসনা চলেছে, সেভাবে উৎসব উদযাপনে কোনো বাধা নেই। বাধা নেই দূর থেকে বাঙালির সংস্কৃতি আর মানুষকে ভালোবাসাতেও।