শিরোনাম
◈ সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক ◈ টানা ১৯ দিন ছুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ◈ জনগণের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেয় তারা এমনিতেই বিলীন হয়ে যায়: গয়েশ্বর  ◈ সচিবালয় ও যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ◈ মুন্সীগঞ্জ লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধর, ভিডিও ভাইরাল! ◈ পাকিস্তান উচ্চ-গতির মিসাইল ব্যবহার করছে, বলল ভারত ◈ শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত : ভারতের ৩২ বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা ◈ এবার সাইবার হামলায় ভারতের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা অচল ◈ পাকিস্তানের গোলায় ভারতীয় কর্মকর্তার মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৩০ দুপুর
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৩০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনা পরিস্থিতিতে মোবাইলে টাকা লেনদেনের চার্জ কমানোর দাবি গ্রাহকদের

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দিশাহারা মানুষ। দেশ জুড়ে প্রায় সব ধরনের লেনদেনে চলছে স্থবিরতা। শুধু চাঙ্গা বিকাশ, রকেট ও নগদের লেনদেন। করোনাভাইরাসের মধ্যেও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর আওতায় নিবন্ধিত এসব প্রতিষ্ঠান লেনদেনের ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রার চার্জ করছে গ্রাহকদের।

[৩] গ্রাহকরা বলছেন, দেশের এমন ক্রান্তিলগ্নেও এসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন লেনদেনে বেশি মাশুল কাটছে যা রিতীমত গ্রাহকদের প্রতি এক ধরনের অমানবিক আচরণ। দেশে চলমান পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক লেনদেনের স্থবিরতাকে কাজে লাগিয়ে সুযোগে অপব্যবহার করছে এসব প্রতিষ্ঠান।

[৪] প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিকাশ বর্তমানে ক্যাশ আউট করতে প্রতি হাজারে সাড়ে ১৮ টাকা কাটে। আর ক্যাশ ইনে কোনো টাকা কাটে না। তবে এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে টাকা পাঠাতে গেলে যে কোনো অংকের জন্য কাটে ৫ টাকা। রকেটেও প্রায় একই চিত্র।

[৫] রকেটে ক্যাশ আউটে ৯ টাকা এবং ক্যাশ ইনেও ৯ টাকা কাটে। সব মিলিয়ে টাকা উত্তোলন এবং জমার ক্ষেত্রে রকেটের একজন গ্রাহককে খরচ করতে হয় ১৮ টাকা।

[৬] এছাড়া এক ব্যক্তি আরেক ব্যক্তিকে টাকা দেয়া-নেয়া করতে গেলে প্রত্যেক অংকের জন্য খরচ করতে হয় ৫ টাকা। তবে নগদে কিছুটা কম আছে। ক্যাশ আউটে নগদে প্রতি হাজারে কাটে সাড়ে ১৪ টাকা। ক্যাশ ইনে নেই। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির বেলায় কাটে ৪ টাকা।

[৭] এক সাক্ষাতকার সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুর রহমান বলেন, হাজারে ১৮ থেকে সাড়ে ১৮ টাকা সার্ভিস চার্জ এটা অযৌক্তিক। আর মহামারীর সময় তো মোটেও এমনটি করা উচিত নয়।

[৮] এবিষয়ে বিকাশের যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, ‘আমরা সেবার বিনিময়ে গ্রাহকের কাছ থেকে যে অর্থ নিই, তার বড় অংশই এজেন্ট, ডিলার, নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভাগ করে দিতে হয়। এটি এমন একটি সেবা, এজেন্ট ও ডিলারদের পর্যাপ্ত ইনসেনটিভ দেয়া না হলে তারা এ সেবা দিতে আগ্রহী হবেন না। এখান থেকে খুব বেশি লাভ থাকে না।

[৯] দ্রুত সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। তাদের মতে, অন্তত করোনাভাইরাসের এ সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানবিক হওয়া উচিত। গলা কাটা চার্জ থেকে তাদের বেরিয়ে আসা উচিত।

সুত্র : যুগান্তর / ই.আ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়