সুজিৎ নন্দী: [৩] খামারীরা একদিনের মুরগির বাচ্চা মাটিতে পুঁতে ফেলছে। দুধ ফেলে দেয়া হচ্ছে। ক্ষতির পরিমান প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী স ম রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনা সংকট মোকাবিলায় যে আর্থিক প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছেন, তা থেকে এই খাতের উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেওয়া হবে। মন্ত্রী খামারিদের খামার বন্ধ না করে যেভাবে হোক চালু রাখার পরামর্শ দেন।
[৪] মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এক কেজি ব্রয়লার মুরগী উৎপাদন খরচ ৯৫ টাকা। বর্তমানে রিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। এখন মোট উৎপাদনের দুই তৃতীয়াংশ বিক্রি হচ্ছে না।
[৫] অন্যদিকে সূত্র জানায়, প্রতিটি ডিম উৎপাদনে খরচ ৬ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ থেকে ৫টাকা। এখন মোট উৎপাদনের এক তৃতীয়াংশ বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন ৪ কোটি ৩০ লাখ ডিম উৎপাদন হয়। হ্যাচারি থেকে প্রতিদিন ২ কোটি ৭০ লাখ একদিনের বাচ্চা উৎপাদিন হয়।
[৬] পোল্টি ইন্ডাষ্ট্রিতে ১৬ দিনে খরচ হয়েছে ৪৫৮ কোটি টাকা। ফিড ইন্ডাষ্ট্রিতে এই সময় ক্ষতি ৭৫ কোটি টাকা। আর হাঁসের খামার ৭হাজার ৮৩১টি। মুরগীর ওষুধ খাতে লস ৮২ কোটি টাকা। রেজিষ্ট্রারকৃত ব্রয়লার মুরগীর খামার ৫৪ হাজার ৪৩১টি এবং লেয়ার মুরগীর খামার ১৮ হাজার ৯৬৪টি।
[৭] মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে আতঙ্কিত নয়, সতর্ক হোন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবারের তালিকায় নিয়মিত দুধ, ডিম, মাছ, মাংস রাখুন। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতরা উৎপাদন অব্যাহত রাখুন। সরকার সব প্রকার সহযোগিতা দেবে।
আপনার মতামত লিখুন :