শরীফ শাওন : [২] বিবৃতিতে জানান, তামাক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা আক্রান্তরা ধূমপানের কারণে অধিক ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার এই অভিজ্ঞতাকে আমরা কাজে লাগাতে পারি।
[৩] আরও বলা হয়, এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশে দুইটি বহুজাতিক তামাক কোম্পানিকে সিগারেট উৎপাদন, বিপণন ও তামাক পাতা কেনা অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে সব বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই জনস্বাস্থ্যবিরোধী পদক্ষেপ জনমনে হতাশা সৃষ্টি করছে। এসময় জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে সিগারেট উৎপাদন, বিপণন সংক্রান্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়।
[৪] সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে, তামাক বিরুধী সংগঠন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইট, বিসিসিপি, এইড ফাউন্ডেশন, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন এবং প্রজ্ঞাসহ আরও কয়েকটি সংগঠন।
[৫] উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। প্রায় ৪ কোটি ১০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজ বাড়িতেইে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তামাকের ক্ষতির শিকার এই বিপুল প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী বর্তমানে মারাত্মকভাবে করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
[৬] মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।