শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ০৭ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৭ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এখন জান বাঁচানো ফরজ, প্রয়োজন সম্মিলিত ও সমন্বিত পরিকল্পনা

কাকন রেজা : অনেকদিন পর বিএনপির কোনো প্রস্তাবনায় বুদ্ধিমত্তার ছাপ দেখলাম। করোনা মোকাবেলায় তাদের দেওয়া ‘৮৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব’ ভেবে দেখা যায় অবশ্যই। এক কথার প্রকাশে এভাবেই বলা যায় বিএনপির প্রস্তাবনা সম্পর্কে। সঙ্গে বলা যায়, বিস্তারিত একটা অর্থনৈতিক চিন্তা বিএনপি করতে পেরেছে শুধু, সরকারের দোদুল্যমানতার কারণে। সরকারের পক্ষ থেকে এমন বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা এখনো প্রকাশ পায়নি বলেই সম্ভব হয়েছে বিএনপির এমন একটি প্রস্তাবনা মানুষের সামনে রাখার। আর প্রস্তাবনাটা এমন যে, তা ফেলে দেওয়ারও জো নেই। কর্মহীন নি¤œবিত্তদের নগদ অর্থ প্রদানসহ মধ্যবিত্ত এমনকি আয়হীন প্রবাসীদের ব্যাপারেও ভাবনা রয়েছে সে প্রস্তাবনায়। বলা হয়েছে, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে। মেগা প্রকল্পের ব্যয় সংকোচন করতেও বলা হয়েছে। প্রস্তাবে স্বল্পকালীন, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি সংকট এড়াতে বলা কথাগুলো একেবারে যুক্তির বাইরে নয়। এ সবই বাস্তবসম্মত। আবারও খুব ছোট করে বলতে গেলে, প্রস্তাবনাটি অবশ্যই ভেবে দেখার মতো। একটি দল, যে দলটি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ শাসন করেছে, তার একটি ছায়া কর্মপরিকল্পনা থাকবে না এমনটি ভেবে আশ্চর্য হচ্ছিলেন অনেকেই। এমন অবস্থায় তাদেরও একটা কথা থাকবে। তারা তাদের মত জানাবে, কী করা উচিত বা উচিত নয়। একটা গাইড লাইন থাকবে কাজের। যাতে সরকার উপকৃত হবে। কারণ উভয় দলই দীর্ঘদিন দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ। উভয় দলই নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে। উভয় দলেই রয়েছে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জ্ঞানী মানুষ। আর এই দুর্দিনে তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া উপায় নেই। অভিজ্ঞতার বিনিময় ছাড়া পথ নেই।
যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের বৈরিতা সবারই জানা। ট্রাম্প তো চীনের নাম শুনলেই জ্বলে উঠেন। কিন্তু এ অবস্থাতে দুই দেশ ঠিকই কথা বলছে। নিজেদের মত তুলে ধরছে, অভিজ্ঞতা শেয়ার করছে। কিউবার চিকিৎসক দল ইতালি গিয়েছে। সারাবিশ্বের বিজ্ঞানীরা নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান করছেন। সারাবিশ্ব এই মহাদুর্যোগে ক্রমেই পরস্পরের কাছে চলে আসছে। এমন মুহূর্তে আমাদের রাজনৈতিক বৈরিতা কোনো বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বহন করে না। হ্যাঁ সরকারের ব্যর্থতা চিহ্নিত করার মধ্যে কোনো দোষ নেই। বরং ব্যর্থতাগুলো চিহ্নিত করার সঙ্গে সমাধানের পথ নির্দেশ হলো গুণের কাজ। সরকার যদি মনে করে তাদের ব্যর্থতা দেখানো মানে বৈরিতার প্রকাশ, এমন পরিস্থিতিতে তা হবে একান্তই অবিবেচনা প্রসূত। চিকিৎসকদের চিকিৎসার সরঞ্জাম নেই, এটা যদি জোরেশোরে বলা না হতো, তবে এতো দ্রুত চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছতো না। ‘নাই’ বলাটা মানে হলো পাওয়ার পথ উন্মুক্ত করা। রোগ নিয়ে ঘরে লুকিয়ে থাকলে যেমন চিকিৎসা হয় না, তেমনি। কথা পরিষ্কার যার যার জায়গা থেকে বিষয়টি জানান দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে উপায় বাতলাতে হবে। তাদের চিন্তার বিষয়টি জানাতে হবে। এর ফলেই সমন্বিত একটি কর্মপরিকল্পনা গড়ে উঠবে। যে পরিকল্পনা পরিস্থিতি পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কাজ করবে। এর কোনো বিকল্প নেই। বিএনপির প্রস্তাবে আপৎকালীন বিষয়ে অনেক কিছুই উল্লেখ করা হয়েছে, যা সরকার গ্রহণ করলে হয়তো মানুষ উপকৃত হবে। এ অবস্থায় ভালো পরিকল্পনা দরকার, প্রস্তাব প্রয়োজন। কে দিলো সেটা দেখার বিষয় নয়। চীন যদি এখন ওষুধ বের করে করোনারা, তবে কি ট্রাম্প সেটা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেবেন, নিশ্চয়ই না। সুতরাং বৈরিতার সময় এটি নয়। ধর্ম বলে জান বাঁচানো ফরজ। এখন মানুষের জান বাঁচানোটাই বড়। এর বাইরে কোনো কথা নেই, থাকা উচিত নয় একেবারেই। লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়