ইয়াসিন আরাফাত : [২] দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের মর্গগুলোতে আর জায়গা নেই। শহরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতেও অসংখ্য লাশ বেওয়ারিশ পড়ে আছে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মরে রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো ছোঁয়া তো দূরে থাক, কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না সেগুলোর দিকে।এমন পরিস্থিতিতে মৃতদেহগুলোর যথাযথ ব্যাবস্থা করতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। তারাই রাস্তায় রাস্তায় নেমে মরদেহ জড়ো করার কাজ করছে। এএফপি
[৩] ইকুয়েডর সরকারের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সরকার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, চলতি মাসের মধ্যেই গুয়ায়াকুইল নগরী ও আশপাশের এলাকায় ৩৫০০ বেশি লোক মারা যেতে পারে।
[৪] শুক্রবার পর্যন্ত ল্যাটিন আমেরিকাজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫৩৭ জনের।মাত্র ৫ দিনে এ সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণ। দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ব্রাজিল ও ইকুয়েডরে। গত বুধবার সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৭০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৯৩ জনের।
[৫] তবে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনোর সরকার করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছে দেশটির জনগণ।লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস জানায়, ইকুয়েডরের গুয়ায়াকুইলের বাসিন্দারা সামাজিক মাধ্যমে রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহের ভিডিও প্রকাশ করে। অনেকে তাদের বাড়ি থেকে মৃতদেহ সরিয়ে নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে বার্তা পাঠায়। কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দেয়ায় বাড়িতে মারা যাওয়া মৃতদেহ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।
[৬] ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের সর্বশেষ তথ্য মতে, দেশটিতে মোট ৩,৬৪৬ জন আক্রান্ত এবং বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সংক্রমণ ও মৃত্যুর প্রকৃত আসলে জানা সম্ভব হচ্ছে না।