আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] যে দেশগুলোতে ১ হাজারের বেশি করোনাভাইরাস রোগী পাওয়া গেছে তার মধ্যে একমাত্র দেশ সুইডেন যা লকডাউন হয়নি। দেশটিতে এখনও ৪৯৯ জন পর্যন্ত সমাবেশ করতে পারেন। এর প্রধান কারণ দেশটির সামাজিক অবস্থান। ওয়েব
[৩] দেশটিতে বৃদ্ধরা সাধারণত একা থাকেন। অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে তারা একা থাকলেও সন্তানদের সঙ্গে দেখা হয়। কিন্তু সুইডেনের সামাজিক ব্যবস্থায় তা হয়না। দেশটি সবকিছু খোলা রেখে বৃদ্ধদের ঘরেই বাইরে যেতে না করেছে। যেনো তারা নিরাপদ থাকেন এবং শিশু ও তরুণদের শরীরে করোনার অ্যান্টিবড়ি তৈরি হয়।
[৪] এই ব্যবস্থায় বয়োবৃদ্ধদের জীবন একেবারেই বদলে গেছে। কারণ আগে তারা বের হতেন। নিজ বয়সীদের সঙ্গে দেখা করতেন। পার্কে হাটতেন। গত কয়েকদিনে বৃদ্ধরা একেবারেই বন্দী হয়ে পড়েছেন। সরকার থেকে দরজার সামনে খাবার রেখে দেয়া হচ্ছে। দরজার বাইরে আসা একদম নিষেধ তাদের জন্য।
[৫] বেলজিয়ামের এক ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা স্থাপন করেছেন অনন্য দৃষ্টান্ত। তাকে ভেন্টিলেটার দিতে চাওয়া হয়েছিলো। যা তিনি নিতে রাজি হননি। সুজানে হয়লাট্রেস তখন জানান, তিনি অনেক বছর বেঁচে ছিলেন। জীবনটাকে পুরোপুরি উপভোগ করেছেন। তাই তার বদলে কোনও সম্ভাবনাময় তরুণকে যেনো বাঁচানো হয়। তিনি মারা গেছেন।
[৬] ইতালি ঘোষণা দিয়ে বৃদ্ধদের চিকিৎসা দিচ্ছে না। সুজানের মতোও একই যুক্তি দেশটির সরকারের।
আপনার মতামত লিখুন :