ইয়াসিন আরাফাত : [২] প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের রোগ সারাতে সাহায্য করে আসছে ভেষজ চিকিত্সা। ভারতীয় উপমহাদেশ, চিন-সহ বিশ্বের অনেক দেশের কিছু সংখ্যক মানুষ এখনও ভেষজ চিকিৎসায় আস্থা রাখেন। বাঙালি বিজ্ঞানীর দাবি, ভেষজ ওষুধ ঠেকাতে পারে করোনার প্রাণসংহার। এই সময়
[৩] ভারতের ভেষজ চিকিৎসা ও ওষুধ উৎপাদন কারী সংস্থা বোস ইনস্টিটিউটের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে কর্মরত ভারতীয় বাঙালি গবেষক-অধ্যাপক রাজাগোপাল চট্টোপাধ্যায় জানান, যে কোনও জীবাণু তার জিনগত বৈশিষ্ট্য বহন করে ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড, ডিএনএ অথবা রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড, আরএনএ রূপে। করোনা হল আরএনএ ভাইরাস। ফলে এর মিউটেশনের হার অত্যন্ত বেশি। সে ক্ষেত্রে করোনার বিস্তার কমাতে রোধ করতে হবে আরএনএ'র সিন্থেথিস। ত্রিফলা-সহ ভারতীয় ভেষজ উদ্ভিদের উপাদান এই সিন্থেসিস ঠেকাতে পারবে বলে রাজাগোপালের ধারণা। টাইমস অফ ইন্ডিয়া
[৪] তিনি বলেন, ক্যানসারের ক্ষেত্রে যেমন ডিএনএ-র উপাদানগুলো ভেষজ নির্যাসগুলোর প্রভাবে ধ্বংস হয়, করোনার ক্ষেত্রেও আরএনএ-র নির্মাণে জরুরি নিউক্লিওসাইড নিউক্লিওটাইডগুলি, ফেনটনের মতো উপাদানগুলি ধ্বংস হবে। এতে আরএনএ তৈরি স্তিমিত হবে।
[৫] রাজাগোপাল চট্টোপাধ্যায়ের মতে , গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরি এক দীর্ঘপথ। তার আগে করোনার তাণ্ডব ঠেকাতে এই ভেষজ উপাদানগুলো বিশেষ উপকারী বলে মনে করেন তিনি। তাই তার পরামর্শ, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত আমলকি, হরিতকি, বহেরা, খয়ের, বিলিতি আমড়া খাওয়া দরকার। বিলিতি আমড়া পাওয়া না গেলে, বেদানা বা ডালিমেও কাজ হতে পারে। জি নিউজ