লুৎফর রহমান হিমেল : বিজ্ঞান এখনো মৃত্যুকে থামিয়ে দিতে পারেনি। হয়তো কোনোদিন পারবে, হয়তোবা পারবে না। তাই এ কথার উপর ভিত্তি করে বলে দেওয়া যায় যার জন্ম আছে, তার মৃত্যুও আছে। জন্মের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর প্রসঙ্গটিও সমান্তরালে এসে যায়। জগতের ধ্রুব ও মীমাংসিত বিষয় এই জন্ম-মৃত্যু। তাই আমি বিশ্বাস করি, এসব মীমাংসিত বিষয় নিয়ে ভাবনা ভাবার কিছু নেই। এতে সময় নষ্ট। বরং এই দুয়ের মাঝখানের যে সময়কালটা মানে কর্ম, সেই কর্মজীবন নিয়ে ভাবা যেতে পারে। কর্মই আসলে সব। দেহের মাঝে নয়, কর্মের মাঝেই আসল মানুষটা বেঁচে থাকে। এই কর্ম সম্পাদনের জন্য শর্ত একটাই। সেটা হলো কর্ম সম্পাদনের জন্য চাই ভয়ডরহীন একটা জীবন। ভয় যেখানে শেষ, জীবন সেখান থেকেই শুরু হয়। আমি ভাগ্যবান যে, আমার আর কিছু না থাক, ভয়ডরহীন একটা জীবন আছে। আমি একটি নিঃশঙ্ক চিত্তের মালিক। এ জীবনে এর চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু আছে বলে আমার অন্তত জানা নেই। আমি সুন্দর জীবনের পূজারী। আমি আরও বিশ্বাস করি, বিখ্যাত না হয়েও সেই সুন্দর জীবনযাপনের সুযোগ আছে। সেটাই যাপন করছি আমি।আমি নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখি। নিজের যোগ্যতার উপর ভরসা রাখি। নিজের শক্তির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে আমার। এ সবের সঙ্গে বিনয়ী ব্যবহার চরিত্রের সঙ্গে যুক্ত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে চলেছি। আমি মনে করি, মানুষ মাত্রই সে একগুচ্ছ দায়িত্বের সমাহার। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবার প্রতিই তার দায়িত্ব রয়েছে। পরিবারে আমি বাবা-মায়ের সন্তান, আমার সন্তানদের আমি বাবা, স্ত্রীর স্বামী, পথে একজন সচেতন পথিক, অফিসে আমি একজন বন্ধুসুলভ পরোপকারের চেষ্টাকারী কর্মী। সব মিলিয়ে আমি সাধারণ একজন মানুষ। সুখী মানুষ এবং এই সুখী থাকার নিরন্তর চেষ্টাটা এখনো চলমান। এই দুর্যোগকালেও ৩১ মার্চ আমার জন্মদিনে যারা সময় ব্যয় করে শুভকামনা জানিয়েছেন, ইনবক্স করেছেন, ফোন দিয়েছেন তাদের জন্যও আমার হৃদয়ভরা ভালোবাসা, শুভ কামনা। জীবন সুন্দর হোক, সমৃদ্ধ হোক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :