শিরোনাম

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেহেতু এখনো করোনা মহামারী আকারে দেখা দেয়নি, তার মানে প্রকৃতি আমাদের একটা ফেভার এরই মধ্যে দিয়ে দিয়েছে

আর রাজী : আমার নিজের একটা ভাবনা আছে যে, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত দেশগুলো থেকে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে প্রচুর মানুষ এসেছেন, তারা বিশ্ব ইজতেমা, বাণিজ্যমেলা, বইমেলার মতো জায়গায় গেছেন, ট্রেনে বাসে লঞ্চে চড়েছেন। এই আগুন্তুক মানুষদের অনেকে বা বড় অংশ মসজিদে অন্তত জুমা পড়তে গেছেন, অন্য মানুষের ক্লোজ কন্টাক্টে গেছেনÑ এ সব কারণে এতোদিনে বাংলাদেশে করোনো ছড়িয়েও পড়েছে ব্যাপকভাবে। বড় অংশ এন্টিবডি পেয়ে গেছে আর হয়তো অসংখ্য বৃদ্ধ মানুষ মারাও গেছেন। এভাবে সম্ভবত একটা হার্ড ইমিউনিটি তৈরির কাছাকাছি আমরা এরই মধ্যে পৌঁছে গেছি। চীন ও ইতালির সঙ্গে কানেক্টিভিটি, সৌদিতে ওমরাহÑ এ সব তো ১০-১২ দিনে তৈরি হয়নি, এসব জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি-মার্চের শুরুতেও ছিলো।
যেহেতু এখনো এটা মহামারী আকারে দেখা দেয়নি, তার মানে প্রকৃতি আমাদের একটা ফেভার এরই মধ্যে দিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া করোনা যে ধরনের সারফেসে বাঁচে, কার্ডবোর্ড, স্টিল, অ্যালুমুনিয়াম, কাচ সে সব আমাদের গ্রামে নেই। শহরেও অত্যন্ত কম। আমাদের খাদ্যাভ্যাস খুব ভালো। কাঁচা খাই না, খাবার নিয়ে নিত্যনতুন গবেষণা নেই। হোটেলে সাধারণ মানুষ খায় না। পাবলিক টয়লেটসহ সব গণব্যবস্থাপনার ব্যবহার অত্যন্ত সীমিত। চুমু ও হাত মেলানোর সংস্কৃতি আমাদের সাধারণ মানুষের সমাজে নেই। যেকোনো প্রোটিন কোটের উপর তাপ, চাপ ও আর্দ্রতার প্রভাব থাকাটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের আবহাওয়া প্রোটিন কোটেড কিছুর জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে আগামী কয়টা দিন ঘরে থাকতে পারলে বড় ঝুঁকি আর রইবে না হয়তো। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়