শিরোনাম

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনাকালে যারা সবচেয়ে আলোচিত

মির্জা ইয়াহিয়া : দেশে নতুন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে নতুন কিছু মানুষ সামনে চলে আসেন। আবার পুরনো কিছু মানুষও নতুনভাবে আলোচনায় আসেন। করোনাভাইরাসের সময়ও সেটা দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন এ বিষয়টি নিয়ে টিভিতে লাইভ আপডেট দিচ্ছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। দেশের পরিস্থিতি জানতে সবাই এখন তার লাইভের দিকে তাকিয়ে থাকেন। রাতারাতি তিনি যেন একজন তারকায় পরিণত হয়েছেন। সব মিডিয়া তার বিষয়ে বিভিন্ন কিছু তুলে ধরছে। ফেসবুকে তাকে নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সমালোচনাও করা হচ্ছে। আমি মনে করি মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আন্তর্জাতিক একটি দুর্যোগের সময় তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত রাখতে চাইছেন। এই কারণে তার সমালোচনা করা ঠিক নয়। তিনি নিজ দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছেন বলেই আমার বিশ্বাস। বর্তমান সময়ে আরও একজন মানুষকে নিয়ে আমাদের দেশে অনেক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি অণুজীববিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল। এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আগে থেকেই দেশে-বিদেশে বড় অবদান রেখেছেন। দুই দশক আগে ছাগলের মড়ক ঠেকাতে পিপিআর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেন। ২০০৩ সালে যখন সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়, তখন সিঙ্গাপুরে এই ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের উপায় বের করেন। এটি তার নামেই প্যাটেন্ট করা। এবার বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বেই গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রে সুলভ করোনাভাইরাস শনাক্ত করার কিট উদ্ভাবিত হয়েছে। এই কারণেই তিনি এবার গণমানুষের কাছ থেকে বাহবা পাচ্ছেন।
গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের করোনাভাইরাস শনাক্ত করার কিট কম মূল্যে দ্রুতই পাওয়া যাবেÑ এই আশায় আছি আমরা সবাই। এর জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে এর প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে। তার উদ্যোগের কারণেই বিজন কুমার শীলরা কাজটিতে হাত দিতে পেরেছেন। অন্যদিকে সরকারও যথাযথ সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। এই মানুষটি মুক্তিযুদ্ধের সময় আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। পরে তৃণমূলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এগিয়ে আসেন। এখনো এতে সক্রিয় আছেন। আশির দশকের শুরুতে দেশের ‘জাতীয় ওষুধ নীতি’ প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। করোনাভাইরাসের সময়ও জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাস বাংলাদেশে আসার পর পরই আরও একজন মানুষের বক্তব্য ভাইরাল হতে দেখেছি আমরা। তিনি দেশের জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক আব্দুন নূর তুষার। করোনাভাইরাসের সময় ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিয়ে জোরালো বক্তব্য রাখেন তিনি। সেই বক্তব্য ডাক্তার ছাড়াও অন্যান্য মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলে। কারণ ডাক্তাররা নিরাপদ না থাকলে অন্যদের চিকিৎসার বিষয়টি ঝুলে যাবে। মিডিয়ার মানুষ হিসেবে আব্দুন নূর তুষারকে আমরা বেশি চিনি। কিন্তু তিনিও একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। মেডিকেলেই তার পড়াশোনা। তাই তার বক্তব্য পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। তার কথাকেও গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। যার যার জায়গা থেকে আমরা যদি ঠিক কাজটি করি তবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এর ক্ষয়ক্ষতিও কাটিয়ে উঠতে পারবো। কারণ অন্ধকার শেষেই আলো আসে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়