সওগাত আলী সাগর : করোনাভাইরাসকে আমরা কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছি। আতঙ্ক ছড়াতে ছড়াতে এই ভাইরাস সম্পর্কে মানুষের মনে কতোটা ভীতি আর কুসংস্কার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। করোনা আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনের জন্য জায়গা নির্ধারণ করতে গেলে এলাকাবাসী বাধা দেন, হাসাপাতালে রোগী ভর্তি করতে গেলে মিছিল করে এসে হাসপাতাল অবরোধ করে রাখেন, কবরস্থানে ব্যানারে টানিয়ে রাখেনÑ এখানে যাতে করোনায় মৃত কাউকে কবর দেওয়া না হয়, করোনায় আক্রান্ত মৃতদেহ সন্দেহে ট্রলারে হামলা করেন। এখন আবার করোনা চিকিৎসা হাসপাতাল বানানোয় বাধা দেন। কী আশ্চর্য! করোনার চিকিৎসায় বাধা দেবেন, মৃতদেহের সৎকারে বাধা দেবেন হাসাপাতাল বানানোয় বাধা দেবেনÑ করোনা সম্পর্কে এমন ভীতিকর ধারণা আপনাদের মনে কীভাবে তৈরি হলো? কারা তৈরি করলো? কাদের অপপ্রচারণা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করলো। সরকারি উদ্যোগে নয়, যে ব্যবসায়ীদের আমরা হরহামেশা মিডিয়ায় দেখি, যারা সরকারের নানা ধরনের সহযোগিতা পায় তাদের কেউ নয়Ñ আকিজ গ্রুপ নিজের উদ্যোগে একটা হাসপাতাল বানাবে তাতে যারা বাধা দিতে আসেন তারা কী আসলে মানুষ? তারা কেমন মানুষ? ধন্যবাদ দিই পুলিশকে, তাদের হস্তক্ষেপে হাসপাতালের বাধা সরেছে। কিন্তু করোনা সম্পর্কে মানুষের মনে যে ভীতি পুঁতে দেওয়া হয়েছে তা সরাবে কে?
গবেষকরা প্রথম থেকেই করোনাভাইরাস সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরীক্ষিত এবং প্রমাণিত তথ্যগুলো প্রতিদিন প্রচার করছেন, সেগুলো মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে মানুষের মনে এমন ভুল ধারণা তৈরি হতো না। সেই কাজটি কেন করা হলো না? প্রতিদিন ফেসবুকে আপনি কতো শত শত পোস্ট দেন, তার কোনটা সঠিক, কোনটা ভুল, কোনটা মানুষের মনে ভুল ধারণা তৈরি করছে তা কি কখনো ভেবেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক’টা তথ্য আপনি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন? করোনার এই কঠিন সময়ে একদল অমানুষের মুখচ্ছবি কেন আমাদের দেখতে হচ্ছে। কেন। ফেসবুক থেকে