শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনা চোখ রাঙাবে, আপনিও মারবেন, কেন?

বিধান রিবেরু : দেশে কী সাধারণ ছুটি ঘোষণা হয়েছে, না কারফিউ? কোনটা? করোনা চোখ রাঙাবে, আপনিও মারবেন, কেন? আমরা যে জনগণের টাকায় ফুটানি মারি, তারা ভুলে যাই, চাকর থেকে চাকরি কথাটা এসেছে। জনগণের চাকর আজ জনগণকে কানধরে উঠবস করায়, ছবি তোলে, ফেসবুকে দেয়। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলে ফেলে। করোনায় সতর্ক থাকা প্রয়োজন, তার মানে এই নয় মাস্তানি করতে হবে। সূর্যের চেয়ে বালি গরম। মাথায় পচন ধরলে তা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবহারেই বংশের পরিচয়। শিক্ষা থাকলেই হয় না, প্রকৃত শিক্ষার দরকার। পোশাকের গরম আছে। অস্ত্রেরও। ছেড়ে দেওয়া ডোবারম্যানের মতো আচরণ কেন? সবাই তো মানুষ। তার চেয়েও বড় কথা, আপনার পরিবারের খরচ যোগায় কে? করোনার কারণে যেখানে-সেখানে মারপিট কেন? মাস্তানি আর কতো? হেলমেট বাহিনী থেকে হোম মেড বাহিনী। জনগণও বলিহারি। মার খেয়ে যাচ্ছে, খেয়েই যাচ্ছে। ম্যাকিয়াভেলির কথাÑ যেমন জনতা, তেমন তার নেতা। কিন্তু জনতা আর নেতা তো এক নয়। নেতা তো আমাদের নিয়ে যান, আমরা ‘নিতো’ হই, তারা নেতৃত্ব দেন। তাদের দায় তো বেশি। এমন পরিস্থিতি কি বছরে দুইবার করে হয়? মানুষ এভাবে গৃহবন্দি থাকতে অভ্যস্ত নয়। মানসিক চাপও তো তৈরি হয়। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক নানা কারণ তো আছেই। মানুষই কিন্তু উড়োজাহা
জ বানিয়েছিলো, পাখির মতো উড়বে বলে।
কক্সবাজারের সৈকত থেকে ডলফিন দেখা যাচ্ছে। হরিদ্বারে রাত্তিরে সপরিবারে হরিণ বিচরণ করছে, একেবারে পিচঢালা পথে। গ্রামে বেড়েছে পাখিদের কলকাকলী। মানুষ অস্ত্র বানায় আরেক মানুষকে মারবে বলে। তো করোনাই সেটা করে দিচ্ছে, এতো আক্ষেপ কেন? কোয়ারেন্টাইন বানানো হচ্ছে। লোকজন হামলা চালালো। চলবে না, চলবে না। নিজেদের করোনা হলে বলবে, কেউ কিছু করলো নাগো। করোনা আক্রান্ত মৃতকে কবর দেওয়া যাবে না এই গোরস্থানে। ব্যানার টানানো হয়েছে। মরলে বলবে, এক ছটাক মাটিও পেলো না গো। পাবলিক। হৃদয়ে এতো চাপ নিয়ে তারা বাঁচে কীভাবে? এক মানুষরূপী পিশাচকে দেখেছিলাম। অন্যের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলায় তার তুলনা নেই। এমন মাত্রার বাজে লোক আর দেখিনি। অথচ মুখে সারাক্ষণ হাসি। আহা! খল। সাপ কতো নিরীহ। করোনা তো সাধু। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়