শিরোনাম
◈ সীমান্ত পাড় হওয়ার চেষ্টা, পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেপ্তার ◈ ২২ বিচারপতিকে স্থায়ী নিয়োগ ◈ বিএনসিসি মানে আত্মমর্যাদা ও শৃঙ্খলা: প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ‘অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ার’ করে হত্যার নির্দেশ দিলেন সিএমপি কমিশনার ◈ অতীতের জটিলতা ভুলে বাস্তবতার পথে বাংলাদেশ-পাকিস্তান, নতুন উদ্যোগে থাকছে যা যা ◈ বাংলাদেশের ক্যাচ মিসের মহড়া, প্রথম দিন শে‌ষে স্বস্তিতে আয়ারল্যান্ড ◈ দেশের সব বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা জারি ◈ রাজধানীতে আবারও বাসে আগুন  ◈ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রমজান আমদানিতে সহজ নীতি ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ দিল্লিতে বিস্ফোরণ, বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে: তৌহিদ হোসেন

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২০, ০৮:৩৫ সকাল
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২০, ০৮:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আধিপত্য নিয়ে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধ স্কুলছাত্রী নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট : নরসিংদীর রায়পুরায় দুর্গম চরাঞ্চল চানপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া ও যুবলীগ নেতা নাসির খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে সোনিয়া (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রী নিহত ও উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জের ভৈরব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকাটাইমস, ভাঙ্গি নিউজ ও নরসিংদী সময়

নিহত সোনিয়া কালিকাপুর গ্রামের জালাল মিয়ার মেয়ে ও সদাগরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রী মারা যায়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় ছয়টি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

এ ঘটনায় অহিদ মিয়ার ছেলে আব্দুস সাত্তার ও আবু সামাদের ছেলে সবুজকে আটক করেছে পুলিশ। রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক দেব দুলাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, চানপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মিয়ার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে শুক্রবার রাতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

শনিবার সকালে হঠাৎ দুই পক্ষের লোকজন টেঁটা-বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে এক স্কুলছাত্রীসহ দুই পক্ষের ১১ জন আহত হন। এসময় উভয় পক্ষের ছয়টি ঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আ.লীগ নেতা বাবুলের দুই সমর্থক সাত্তার ও সবুজকে আটক করে।

এসময় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত স্কুলছাত্রী সোনিয়াকে স্বজনরা প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় ও পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আহতরা হলেন, কালিকাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে শবুর মিয়া (৫০), সৈয়দ জামানের ছেলে জাকির মিয়া (৩৮), জিতু মোল্লার ছেলে ফরিদ মিয়া (৬০), জালাল মিয়া (৪০), মৃত তাহের মিয়ার স্ত্রী রুবিনা খাতুন (৬০), ছেলে হেলাল মিয়া (৩২), অন্তঃস্বত্ত্বা পুত্রবধূ মুক্তা আক্তার ও শান্ত মিয়ার স্ত্রী আনু (৩৩), হযরত আলীর ছেলে মগল হোসেন (৩৮), ইনু মিয়ার ছেলে মাছুম (২৫) ও বাছেদ (৩২)।

ঢাকাটাইমস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়