হৃদয় ইসলাম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: [২] সরকারি নির্দেশনায় সারাদেশে সাধারণ ছুটি শুরু হলেও মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চা শ্রমিকদের এ ছুটির আওতার বাহিরে রাখায় গত কয়েকদিন ধরে চা বাগানগুলোতে আন্দোলন জোরদার হচ্ছিলো।
[৩] গত শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা বাগানসহ মোট ৫টি চা বাগানের শ্রমিকরা নিজেরা ছুটি শুরু করলে শনিবার সকাল থেকে কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের মৃর্তিংগা চা বাগানের ১০১৫ জন চা শ্রমিক সেচ্ছায় ছুটি ভোগ শুরু করছেন।
[৪] বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা জানান, শনিবার সকালে মৃর্তিংগা চা বাগানের ১০১৫ জন শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে সাধারণ ছুটির জন্য ব্যবস্থাপকের কাছে জোর দাবি জানায়।
[৫] এ দাবির প্রেক্ষিতে মৃতিংগা চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সমর্থন জানালে ব্যবস্থাপক ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছেন। মৃর্তিংগা চা বাগানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক প্রদীপ বর্মন বলেন, চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদ ও শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে চা বাগানে ছুটির কোন নির্দেশনা আসেনি। তাই ছুটি দেওয়া হয়নি। তবে এ চা বাগানের চা শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের অর্জিত ছুটি থেকে শনিবার থেকে ছুটি দেওয়া হয়।
[৬] এ দিকে কমলগঞ্জে সরকারী মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসি) ৫টি চা বাগান রয়েছে। এসব চা বাগানে ছুটির দাবিতে গত শুক্রবার থেকে চা শ্রমিক ও চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির মধ্যে আলোচনা চলছে।
[৪] এনটিসির মালিকানাধীণ সবচেয়ে বড় পাত্রখোলা চা বাগানের ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশীয় চা সংসদ ও শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে চা বাগানের ছুটির নির্দেশনা আসেনি। তাই চা বাগানে ছুটি দেওয়া হয়নি। ছুটির নির্দেশনা আসলে অবশ্যই ছুটি দেওয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ