শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২০, ১২:২৭ দুপুর
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২০, ১২:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একজন সানাউল্লাহ মিয়ার প্রস্থান: আল্লাহ এই নি:স্বার্থ মানুষটিকে কবরে অন্তত: প্রতিদান দিন

অলিউল্লাহ নোমান :  অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। নামেই যার পরিচয়। নিজেই যেন একটি ইন্সষ্টিটিউট। ছাত্র দলের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু। প্রতিষ্ঠাকালীন ছাত্রদলের ঢাকা সিটি ল’ কলেজের সাধারণ সম্পাদক। পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগর ছাত্রদলেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্র রাজনীতির সিড়ি বেয়ে দলীয় রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি খ্যাতি অর্জন করেন পেশাগত জীবনে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী দাপট তখনো ছিল। সেই দু:সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা মোকদ্দমা শুরু করেন বিনা পয়সায়। তখন ঢাকা বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক নির্বাচিত হন। জননিরাপত্তা আইন নামে একটি কালো আইন তৈরি করেছিল ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকার। পুরো মনে নেই। তবে যতটুকু মনে পড়ে কোতয়ালী থানা বিএনপি সভাপতি ছিলেন অ্যাডভোকেট হাবিব মন্ডল। ১৯৯৯ সালে তাঁকে দিনে দুপুরে ঢাকার রাজপথে খুন করা হয়। সেই খুনের পর আন্দোলন দানাবেধে উঠেছিল পুরান ঢাকা এলাকায়। পুরো ঢাকা তখন অচল হয়ে পড়ে আন্দোলনে। সেই আন্দোলনে ঢাকা জজকোর্টে নেতৃত্ব দেন সানাউল্লাহ মিয়া। তাঁকে গ্রেফতার করে জননিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়া হয়। ঢাকা বার এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কারাগারে। এন নিউজ করেছি তখন। কারাভোগ করেছেন দীর্ঘদিন।

২০০১ সালে চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। সানাউল্লাহ মিয়াকে সরকারি কোন পদে দেখা যায়নি কিন্তু। তখন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে তাঁকে। আওয়ামী লীগ কথায় কথায় আদালত বর্জন কর্মসূচি দিত। আদালত বর্জন কর্মসূচির নামে কোর্টপাড়ায় ত্রাস সৃষ্টি করত আওয়ামী লীগ। সে কর্মসূচি গুলোর মোকাবেলায় পাল্টা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে সানাউল্লাহ মিয়াকে। এভাবেই কেটেছে চার দলীয় জোট সরকারের সময়টা।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারী। জারি হয় জরুরী আইন। ক্ষমতায় আসেন চার দলীয় জোট সরকারের মনোনীত সেনা প্রধান মঈন উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে জরুরী আইনের সরকার। বিএনপি চেয়ারপার্সন থেকে শুরু করে একে একে জাতীয় নেতারা গ্রেফতার হচ্ছেন। চার দলীয় জোট সরকারের সুবিধাভোগী। অনেকে রাষ্ট্রীয় পদবী (কোর্টে পিপি-জিপি) ছিলেন। তারা অনেকেই তখন লাপাত্তা। কেউ কেউ জরুরী আইনের সরকারের সাথে গাঁ ভাসিয়েছেন তখন। কিন্তু সানাউল্লাহ শিষাঢালা প্রাচীর হয়ে এগিয়ে আসেন। কাউকে গ্রেফতার করা হলেই সানাউল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে একদল আইনজীবী আদালতে হাজির। কেউ তাঁকে ডাকার প্রয়োজন হত না। কোন রকমে খবর তাঁর কানে পৌছালেই যথেষ্ট! তখন মাসুদ আহমদ তালুকদার এবং খোরশেদ আলমকে দেখা যেত তাঁর ডানে-বামে। ১/১১ যামনায় ত্রীরত্ন হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন এই ৩ আইনজীবী। যেদিকেই হাটেন ৩জন একসাথে। মিটিং-মিছিল। সবখানেই ত্রিরত্ন। বিএনপির কেউ গ্রেফতার হওয়া মানেই সানাউল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে তারা হাজির। আদালতে একমাত্র ভরসা সানাউল্লাহ মিয়া ও তাঁর সহযোগিরা। সন্ধ্যার বেসরকারি টিভি গুলোর খবরে আদালতে নেয়া আসামীদের পক্ষে সানাউল্লাহ মিয়ার বক্তব্য। সে সময় টেলিভিশনে বিএনপি’র পক্ষে আদালতে সানাউল্লাহ মিয়ার বক্তব্য শুনেননি এমন কোন ব্যক্তি হয়ত: খুজে পাওয়া যাবে না। বিএনপি চেয়ারপার্সন থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের কর্মী। সবার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও তাঁর চেম্বার।

জরুরী আইনের ধারাবাহিকতায় আসে শেখ হাসিনার সরকার। মামলার চাপ আরো বেড়ে যায়। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিরুদ্ধেও শুরু হয় একের পর এক মামলা। আগে দেখতাম রিপোর্টার বা সাংবাদিকের চোখে সানাউল্লাহ মিয়াকে। এবার শুরু হল মক্কেল হিসাবে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও তাঁর চেম্বার দেখা।

প্রতি সপ্তাহে আমাদের ৩-৪দিন সিএমএম কোর্টে হাজিরা দিতে হত। শ্রদ্ধেয় সম্পাদকসহ আমরা তাঁর চেম্বার সকালে হাজির। সকাল ১০টায় কোর্ট শুরু হবে। সানাউল্লাহ মিয়া সাড়ে ৯টায় চেম্বারে হাজির। এসেই উপস্থিত সবার জন্য চা’র নির্দেশ। সঙ্গে মাঝেমধ্যে কোর্ট পাড়ার ছোট সিঙ্গারা।

প্রতিদিনই দেখতাম চেম্বারে ভীড়। চার দলীয় জোটভুক্ত ইসলামী ঐক্যজোটের নেতাকর্মীদেরও দেখতাম তাঁর চেম্বারে ভীড় করছেন। প্রায়ই সকালে চেম্বারে তিলধারনের ঠাই নাই। রসিকতা করে চেম্বারের জুনিয়াদের বলতাম, কামাই তো ভালই হচ্ছে মনে হয় আপনাদের। রহস্যের হাশি দিয়ে তারা জবাব দিনে। বলতেন, ওকালতনামা এবং হাজিরার জন্য কোর্ট ফরম কেনার পয়সা দিলেও ভাল হত। অন্তত: নিজের পকেট থেকে ঘাটতি দিতে হত না। সবাই আসেন স্বাক্ষর করেই দায়িত্ব শেষ! মনে মনে ভাবলাম, প্রত্যেকে একশ’ করে টাকা দিলেও কয়েক হাজার হয়ে যায়। কিন্তু কেউ টাকা দেন না। বিনা পয়সায় সব মামলা। ওকালতনামা এবং হাজিরা ফরমের টাকাও দিতে হয় জুনিয়রদের পকেট থেকে! কোর্টে শুনানীতে সানাউল্লাহ মিয়াও ফ্রি।
বিএনপি’র বড় বড় নেতাদের সাথেও প্রায়শই দেখা হত চেম্বারে। তারাও আসতেন মামলার হাজিরা দিতে। ক্ষমতায় থাকতে প্রচুর টাকা কামাই করেছেন। অনেকে টাকার পাহাড় গড়েছেন। দুদকের হিসাবে ৮০-৯০টি ফ্ল্যাটের বিবরণ দিয়েছেন। জানলাম, এমন নেতারাও টাকা দেন না। সবই বিনা পয়সায়। এমনকি জুনিয়রদের হাত খরচ পর্যন্ত নয়! শুনে অবাকই হতাম।
২০১০ সালের ১ জুন শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার হলেন। বিকালে আদালতে নেয়া হবে। রওয়ানা দিলাম সিএমএম কোর্টের দিকে। প্রেসক্লাব থেকে রওয়ানা দেয়ার সময় দল পাগল তেজগাও থানা বিএনপি নেতা কবীর বললেন, আমিও যাব আপনার সাথে। কোর্ট প্রাঙ্গনে পৌছে দেখি শতশত আইনজীবী উপস্থিত সিএমএম কোর্টের মূল ফটকের সামনে। নেতৃত্বে সানাউল্লাহ মিয়া। আমাকে দেখেই ধমক দিলেন। বললেন, দ্রত এখান থেকে সরেন। পরিস্থিতি ভাল নয়। গ্রেফতার করা হতে পারে। আমি দ্রুত অন্য একটি ভবনে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম। আমার সঙ্গে একই রিক্সায় কোর্টে যাওয়া কবীর আর সরলেন না। একটু সামনে ভীরের মধ্যে এগিয়ে গেলেন। সানাউল্লাহ মিয়ার ধমকে আমি অন্যত্র সরে গেলাম। কবীর কোর্টের গেইটে যাওয়া মাত্রই গ্রেফতার হলেন। এসময় দুই জুনিয়র আইনজীবীও গ্রেফতার হন। তখন বুঝলাম তাঁর ধমক কতটা গুরুত্ব ছিল! মাহমুদ ভাইয়ের জামিন শুনানী হল। আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। কোর্ট শেষে পরিস্থিতি শান্ত হলে সানাউল্লাহ মিয়ার চেম্বারে যাই। তিনি আমাকে দেখেই বললেন, দেখছেন কবীরকে কিন্তু গ্রেফতার করা হয়েছে। আপনি থাকলে পরিস্থিত কি হত এখন! একটু পর কানে কানে বললেন, ‘মাহমুদ ভাইয়ের মামলার জন্য টাকা-পয়সা আমাকে দিতে হবে না।’ একজন জুনিয়রের নাম উল্লেখ করে বললেন, ওর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখবেন। কোর্টের কিছু খরচপাতি লাগে। সেটা ওকে দিলেই চলবে। মানে বিভিন্ন অর্ডারের সার্টিফিকেট কপি উঠাতে এবং ওকালতনামা ইত্যাদির জন্য টাকা লাগে। তিনি সেটা বোঝালেন। চেম্বারের ফি বা জুনিয়রের ফিও নয়। যদিও আমরা জুনিয়রকে কিছু হাত খরচ দেয়ার চেষ্টা করতাম। অন্যদের মত একেবারে ফ্রি নয়।

সানাউল্লাহ মিয়ার শেষ দু:খ:

১/১১-এর সময় বিএনপি’র তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভুইয়া বহিস্কার হন। সানাউল্লাহ মিয়া এবং আবদুল মান্নান ভুইয়া একই নির্বাচনী আসনের বাসিন্দা। এতে সানাউল্লাহ মিয়া ওই আসনে নির্বাচনের জন্য পরিকল্পনা করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু পাননি। পরবর্তীতে পাবেন এমন একটি প্রত্যাশা ছিল তাঁর। সেই আশায় প্রতি সপ্তাহে নরসিংদী যাতায়াত শুরু করেন। বৃহস্পতিবার বিকালে কোর্ট শেষ করে রওয়া হতেন নরসিংদীর দিকে। ফিরতেন শনিবার রাতে। এই যাতায়াত নিয়মিত হয়ে যায় তখন। তাঁর এমন যাতায়াত দেখে মাঝে মধ্যে রসিকতাও করেছি। বলতাম আপনি শেষ পর্যন্ত সংসদ সদস্য হয়েই ছাড়বেন। মুছকি একটা হাসি দিতেন তখন।

কোর্টকাচারিতে বিনা পয়সায় দলীয় লোকের মামলার পর যতটুকু আয় করতেন সব তিনি এলাকায় ব্যয় করা শুরু করেন। তাঁর একটাই কথা। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু। সারা জীবন নি:স্বার্থভাবে দলের পেছনে সময় ব্যায় করছি। কখনো কিছুই চাই নি দলের নিকট থেকে। ঢাকা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি হয়েছি। এবার অন্তত সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নের যোগ্য বলে বিবেচিত হব। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর। প্রায় ১০ বছর তিনি ওই আসনে রাজনীতি চাষ করেছেন। তারপরও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে মনোনয়ন তাঁর কপালে ঝুটেনি। পাশের আসন থকে একজন টাকাওয়ালা উপজেলা চেয়ারম্যান ভাগ বসায় এ আসেন। শেষ পর্যন্ত আইনের বেড়াজালে ওই টাকাওয়ালাও নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। হাইকোর্টে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। শোনা যায় টাকার জুড়েই পাশের আসন থেকে ধাক্কা দিয়ে সানাউল্লাহ মিয়াকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হন ওই প্রার্থী। কপাল পুড়ে সানাউল্লাহ মিয়ার। টানা ১০ বছর রাজনীতি চাষ করা আসন হাতছাড়া হয়ে গেল কাটাকার কাছে। টাকা কাছে হেরে গেল সানাউল্লাহ মিয়ার দীর্ঘদিনের শ্রম। এতে মনে বড় ধাক্কা লাগে তাঁর। এই ধাক্কা সইতে পারেননি তিনি। কষ্ট সইতে না পেরে সপ্তাহের মধ্যেই ব্রেইনস্ট্রোক করেন। শরীরের একপাশ পুঙ্গু হয়ে যায়। আর ঠিকমত উঠে দাড়াতে পারলেন না। টাকার অভাবে হয়ত: স্কয়ার, ইউনাইটেড বা অ্যাপলোর মত বড় হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নেয়াও সম্ভব হয়নি। যদিও মাঝে একবার বিদেশে নেয়া হয়েছিল তাঁকে। অল্পদিন বিদেশে চিকিৎসার পর দেশেই ফিরতে হয়। স্বল্প খরচের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালই ছিল তাঁর একমাত্র ভরসা।

যতটুকু জানা যায়, আসনটি টাকাওয়ালা ব্যক্তিকে দেয়ার সময় তাঁর সাথে ন্যূনতম সৌজন্যতাও দেখানো হয়নি। মুখ দিয়ে কেউ একবার বলেননি কি কারনে তাঁকে মনোনয়নটা কেন দেয়া গেল না। যেন ময়লার মত ছুড়ে ফেলে দেয়া হল দীর্ঘ দিনের লড়াকু একজন সৈনিককে। এতেই তাঁর মনে বড় কষ্ট। অসুস্থতার সময় হাসপাতালে। দুইদিন ফোনে কথা হয়েছে। তাঁর কথায় শুধু মনের কষ্টই ফুটে উঠতো!

তাঁর এই চির বিদায়ের দিনে জানাযায় থাকতে পারলাম না। খুব কাছের মানুষ। ঘনিষ্ট আপনজন ছিলেন। লন্ডনে এসেছিলেন ২০১৪ সালে। জিজ্ঞেস করলেন কিছু করছেন এখানে। বললাম না। দিশা পাচ্ছি না কি করব। তখন দেড় বছর হয়ে গেছে প্রায়। বললেন, একটা কিছু করেন। দেশের পরিস্থিতি কখন ভাল হবে। যতদিন লন্ডনে থাকেন কিছু একটা করা দরকার। তাঁর ঘনিষ্ট কয়েকজকে বললেন, নোমান ভাইকে একটা কাজ জোগার করে দেন। এই খোজটাই বা ক’জন নিয়েছেন বা নেন। এই হচ্ছেন সানাউল্লাহ মিয়া!

কাছে থেকে দেখা একজন সানাউল্লাহ মিয়ার পক্ষে আল্লাহর দরবারে স্বাক্ষ্য দিচ্ছি। আল্লাহ তাঁর নি:স্বার্থ ত্যাগ ও পরিশ্রমকে কবুল করুন। মজলুমের পক্ষে তিনি যেভাবে আদালতে দাড়াতেন, রহমতের ফেরেস্তারা যেন তাঁকে কবরে সেভাবে গ্রহন করেন। হে পরোয়ারদিহার রহমানুর রাহিম। তাঁর কবরকে জান্নাতের বাগিচা হিসাবে তৈরি করে দিয়েন । দুনিয়ায় লোভী মানুষদের কারনে সানাউল্লাহ মিয়া হয়ত: তাঁর শ্রমের ফসল দেখে যেতেন পারেননি। আল্লাহ এই নি:স্বার্থ মানুষটিকে কবরে অন্তত: প্রতিদান দিন। যাদের টাকা নেই, এমন রাজনীতিকদের সানাউল্লাহ মিয়া থেকে শিক্ষা গ্রহনেরও তৌফিক দিন। সানাউল্লাহ মিয়ার শেষ বিদায়ে আল্লাহ তোমার কাছে গোনাগার বান্দা হিসাবে আমার এটাই নিবেদন।

(ফেসবুক থেকে সংগ্রহিত)

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়