আব্দুল্লাহ মামুন: [২] করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা চীনকে নিয়ে গবেষণায় যেন শেষ হচ্ছে না। মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনার পেছনে কী কারণ, সেটিই খুঁজে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বড় বড় গবেষণা প্রতিষ্ঠান এখন আবহাওয়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন। করোনা সংক্রমণ রোধে ব্যক্তি সচেতনতা, দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপশি এর নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখে আবহাওয়া এমনটিই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
[৩] শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির এক গবেষণার বরাত দিয়ে জানা যায়, গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে।
[৪] প্রতিবেদনে জানানো হয়, এশিয়ার দেশগুলোতে গ্রীষ্মকালে করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে বলেই দাবি করেছেন গবেষকরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) কাসিম বুখারিসহ অন্যান্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবহাওয়া ভেদে কম-বেশি হতে দেখা গেছে।
[৫] সম্প্রতি গবেষণা সাইট এসএসআরএন জানিয়েছে, চলতি বছর মার্চের ২২ তারিখ পর্যন্ত সর্বনিম্ন ৩ ডিগ্রি থেকে ১৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় করোনার সংক্রমণ ছিল ৯০ শতাংশ। এসব অঞ্চলের বায়ুতে প্রতি ঘন মিটারে ৪ থেকে ৯ গ্রাম পর্যন্ত আর্দ্রতা ছিল।
[৬] একইসঙ্গে এ গবেষণা দক্ষিণাঞ্চলের (গ্রীষ্মপ্রধান) তুলনায় উত্তরঞ্চলে (শীতপ্রধান) করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি বেড়েছে বলে জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, নিউ মেক্সিকো এবং অ্যারিজোনায় সংক্রমণের হার সীমিত থাকলেও উত্তরঞ্চলগুলোতে সংক্রমণ দক্ষিণের চেয়ে দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানায় গবেষকরা।