শরীফ শাওন : [২] সংগঠনটি জানিয়েছে, নতুন করে ১৮টি কারখানায় ২ কোটি ২৭ লাখ ৩০ হাজার পিছ পোশাকের কার্যাদেশ বাতিল হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক শ্রমিকদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২০ হাজার। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এ তথ্য পাওয়া গেছে।
[৩] করোনা সঙ্কটে সরকার ৪ মার্চ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ছুটির আওতায় না থাকায় কারখানা মালিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেয় বিজিএমইএ। কার্যালয় খোলা রাখতে গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি।
[৪] বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক জানান, কারখানা মালিকপক্ষ প্রতি মাসে কর্মীদের বেতন ভাতা ৪ হাজার কোটি টাকা দিয়ে থাকেন। করোনা সঙ্কটে রপ্তানি কার্যাদেশ বাতিল হবার কারণে বেতন ভাতা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা রপ্তানি খাতের শ্রমিকদের বেতন সহায়তায় অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
[৫] রপ্তানীখাতে নীট সেক্টরের সংগঠন বিকেএমইএ’র সভাপতি সেলিম ওসমান এমপি জানান, যথেষ্ট কার্যাদেশ না থাকলে আজ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত সরকারি সাধারণ ছুটির সাথে কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে পারেন। আমাদের প্রস্তুতকৃত পণ্যগুলো রপ্তানিযোগ্য এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম। তাই এই সেক্টর পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দেয়া যাবে না। যাদের কার্যাদেশ আছে তারা সীমিত আকারে কারখানা পরিচালনা করতে পারেন। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু