আনিস তপন : [২] এ প্রসঙ্গে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার আজ বুধবার মো. মোস্তাফিজুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান, সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর বৈঠকটি ছিল মূলত সমন্বয় সভা। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সামরিক বাহিনী কিভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন করা যায়, সেসব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে ঢাকার জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, ঢাকার জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি), পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
[৩] বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বুধবার থেকে রাস্তায় প্রস্তুতি মূলক টহল শুরু করবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। এদিন বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর দিক, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, নিজ নিজ নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা কার্যক্রম চালাবেন। তবে ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার যেদিন থেকে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ শুরু হবে সেদিন থেকে সেনা টহল ও পুলিশি টহলের মাধ্যমে মানুষকে বাধ্য করা হবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে। একই সঙ্গে সবাইকে বাধ্য করা হবে করোনা ভাইরাসেরর বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে। বৃহস্পতিবার থেকে জনসমাগম তো দুরের কথা, দুজন একসঙ্গে চলাচল করতে পারবে না। যাতে একজনের সঙ্গে অন্য জনের কোনো রকম সংস্পর্শ না হয়।
[৪] এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে ইমিগ্রেশন থেকে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই তালিকা থানা ভিত্তিক বিভাজন করে স্থানীয় প্রশাসন, এসবি, পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের কাছে পৌছানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে েযসব ব্যক্তিকে ঠিকানা অনুযায়ী পাওয়া গেছে তাদেরকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মানার অনুরোধ করেছি। তাছাড়া যেসব বাসা বা স্থানে কোয়ারেন্টাইনের ব্যক্তি অবস্থান করছেন সেসব স্থান চিহ্নিত করতে স্টিকার বা পতাকা চিহ্ন দেয়া হয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যাতে আশেপাশের লোকজন বুঝতে পারে এখানে বিদেশ ফেরত ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এভাবে করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে জনগণকে সচেতন করতে করা হয়েছে। পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তি সরকারি নির্দেশ মানছে কি না? নাকি বাইরে ঘোরাঘুরি করছে সেই তথ্যও যাতে প্রশাসনকে জানায় এজন্য স্টিকার এবং পতাকা চিহ্ন দেয়া হয়েছে।
[৫] এ পর্যন্ত বিদেশ ফেরত শতকরা (ঢাকা বিভাগের আওতাধীন এলাকা) শতকরা ৪০ ভাগ ব্যক্তির ঠিকানার সন্ধান পেয়েছে প্রশাসন। অবশিষ্ট ব্যক্তিদের ঠিকানা অথবা ফোন নম্বর পরিবর্তন হওয়ায় এখনও তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
[৬] বিদেশ ফেরত এসব ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে এবার প্রশাসন প্রযুক্তির সহায়তা নিবে এবং প্রযুক্তির সাহায্যে শতভাগ বিদেশ ফেরত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা হবে।
বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা সরকারের নির্দেশে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন মানছে কিনা তা পরীক্ষা করে শতভাগ কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, দায়িত্ব পালনকালে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে গণমাধ্যম কর্মীদের নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :