দেবদুলাল মুন্না:[২] এ মতামত তিনি জানান ফরেন পলিসি’কে। তার মতে , ১৯৫৬ সালে মিসরের সুয়েজে ব্রিটিশ শক্তি হেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের হস্তক্ষেপে । এরপর বৃটিশ শক্তির আর উত্থান হয়নি।
[৩] পরবর্তীতে দেখা যায় ৯০ এরপর সাবেক সোভিয়েন ইউনিয়ন সহ পূর্ব ইউরোপীয় সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে পতনের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একক মহাশক্তি হয়ে উঠে।
[৪] নতুন করোনাভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক রাজনীতিতে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে ‘সুয়েজ মোমেন্ট’ টার্ম হিসেবে বলা যায়।কারণ চীন করোনাভাইরাসের ধকল দ্রুত কাটিয়ে উঠে অন্যদেশগুলোকে সাহায্য করছে। করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট থেকে শুরু করে এর সংক্রমণ রোধে কার্যকর উপায়, বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহসহ নানা কারণে এই দুর্যোগ মুহূর্তে সবাই চীনের দিকে তাকিয়ে আছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের দেওয়া বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ ও দিকনির্দেশনামূলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
[৫] উল্টোদিকে ডোনাল্ড ট্রম্পের বক্তব্য সংশয় ও অনিশ্চয়তাই তৈরি করেছে। নেতৃত্বের প্রতিটি মানদন্ডেই এখন পর্যন্ত ওয়াশিংটন নিজেকে ব্যর্থ হিসেবেই উপস্থাপন করেছে।
[৬] ফলে চীন যদি শেষ পর্যন্ত এই দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়ে যেতে পারে, তবে তা এত দিনের বৈশ্বিক কাঠামোটিই উল্টে দিতে পারে। সিংহাসনের নতুন আরোহী হতে পারে শি চিন পিংয়ের দেশটিই।