শিরোনাম
◈ বেগম খালেদা জিয়া: ক্ষমতা ও প্রতিরোধের জীবন ◈ রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকার: ভারতীয় কূটনীতিকের সঙ্গে ‘গোপন’ বৈঠকের কথা জানালেন জামায়াত আমীর ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের স্পিকারের সাক্ষাৎ ◈ নতুন বছরে সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলব: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বি‌সি‌বি কর্মকর্তারা সিলেট স্টেডিয়াম থেকে খালেদা জিয়ার জানাজায় শরিক হন ◈ ইসলামী বক্তা আমির হামজার সম্পদ ১.৫৭ কোটি টাকা, স্বর্ণ ও আসবাব উপহার হিসেবে প্রাপ্ত ◈ খালেদা জিয়া ও ভারতের সম্পর্কে ওঠাপড়া আর আড়ষ্টতার নেপথ্যে ◈ চীন–বাংলাদেশ বন্ধুত্বে খালেদা জিয়ার অবদান চিরস্মরণীয়: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমাসহ সব কর্মসূচি স্থগিত, খুলে ফেলা হচ্ছে প্যান্ডেল  ◈ খালেদা জিয়ার দর্শন–মূল্যবোধ ভারত–বাংলাদেশ অংশীদারত্বে দিকনির্দেশ দেবে: জয়শঙ্কর

প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০২০, ১০:৫৩ দুপুর
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০২০, ১০:৫৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ঢামেকের বহির্বিভাগে জ্বর, হাঁচি, কাশি, মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য পৃথকভাবে চালুকৃত সেবা কেন্দ্র বন্ধ

শাহীন খন্দকার: [২] হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে এমন অজুহাতে পৃথক এ সেবা কেন্দ্রটি সোমবার থেকে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ । তবে বন্ধের পর কোথায় কোন বিভাগ থেকে এ ধরনের রোগীরা সেবা পাবেন সে সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়নি। চিকিৎসা নিতে এসে অনেক রোগীকে ফিরে যেতে হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

[৩] ভিন্ন একটি সূত্র বলছে, বহির্বিভাগে সেবাদান কেন্দ্রে যে চিকিৎসক-নার্স অন্যান্য সহযোগী কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করছিলেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসকদের চাপের মুখে এ সেবাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পৃথক সেবা কেন্দ্রটি বন্ধের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন নিকট জানতে চাইলে, তিনি জানান, রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় তারা এ পৃথক সেবা কেন্দ্রটি বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে আগের মতো জ্বর, হাঁচি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগীরা আউটডোরে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন।

[৪] এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ প্রসঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন, ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে বর্তমানে অনেকেই সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। সাধারণ ফ্লু ভাইরাস এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর উপসর্গ প্রায় একই রকম হয়। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করতে এসে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে যেন অন্যরা সংক্রমিত না হয় সেজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সপ্তাহখানেক আগে বহির্বিভাগে পৃথক প্যান্ডেল ও কক্ষ তৈরি করে পৃথক সেবা কেন্দ্রটি চালু করা হয়।

[৫] এদিকে সপ্তাহ না ঘুরতেই পৃথক এ সেবা কেন্দ্রটি বন্ধ হওয়ায় রোগীদের ভোগান্তি বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে। মঙ্গলবার ২৫ মার্চ বেলা ১১টায় সরোজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিপরীত দিকে ঢামেক হাসপাতালের ওষুধ বিতরণ কেন্দ্রের পাশে ফাঁকা জায়গায় যেখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে জ্বর, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা রোগীদের জন্য পৃথক সেবাকেন্দ্র চালু হয়েছিল সে স্থানটি ফাঁকা।

[৬] পাশেই প্যান্ডেলের বাঁশ পড়ে আছে। আশপাশে হকাররা দাঁড়িয়ে মাস্ক ও গ্লাভস বিক্রি করছেন। আউটডোর ঘুরে দেখা গেছে রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। চিকিৎসক-নার্স এমনকি কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতাদের আজ পিপিই পরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। মেডিসিন বিভাগের একজন কর্তব্যরত ব্যক্তি জানান, করোনা আতঙ্কে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। আগে বহির্বিভাগে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫০-৩০০ রোগী এলেও, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৫২ জন রোগী এসেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়