রবিউল আলাম: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরবময় ইতিহাসে আমরা গর্বিত। তৎকালীন ছাত্র নেতা তোফায়েল আহমেদ ছাত্র রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। মানুষকে সম্মান করা, কর্মীদের ভালোবাসা, বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করা, সমাজের সেবক হওয়া, দলের বিশ্বাস যোগ্যতাই রাজনৈতিক সফলতা, তোফায়েল আহমেদই আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। সত্তরের জলোচ্ছ্বাস ছিলো বাংলার ইতিহাসে দুর্যোগের মহারাজ। তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ জনসেবার ইতিহাস রচনা করেছিলো, বিনিময় বাংলার মানুষ ছাত্রলীগকে বুকে ধারণ করেছিলো, করেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভোটের জন্য ভিক্ষা করতে হয়নি। ভোলার মুকুটহীন সম্রাটের আসনে, সবচেয়ে কম বয়সে জাতীয় সংসদের সদস্য হয়েছিলেন। বাঙালি ভালোবাসা অর্জনে অনেক টাকার প্রয়োজন হয় না, বিপদের সময় একটু পাশে দাঁড়ালেই বাজিমাত, জীবনে আপনাকে বাঙালির মন থেকে মুছে দিতে পারবে না।
বাংলার ইতিহাস থেকে শেখ হাসিনার নাম মুছে দিতে পারবে না। করোনা বিস্তার প্রতিরোধে সেই ছাত্রলীগকে খুঁজে পাচ্ছি না। রাজনীতি করবেন, নেতা হবেন, মানবসেবা ছাড়া কিছুই হবে না। কিছুটা হলেও ছাত্র ইউনিয়ন করোনা প্রতিরোধে এগিয়ে এসেছে। আমি লজ্জিত হই আমার ছাত্রলীগ যুবলীগ, লীগ পরিবারের সদস্যরা কোথায়। শেখ হাসিনা, সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করছে। দেখেও তো কিছু করা যায়, আর কিছু পারো আর না পারো, মানুষের মন থেকে ভয়কে জয় করার জন্য হাত ধোঁয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা যায়, লেখালেখি করা যায়।
মহাবিপদ থেকে মহা অর্জন তো মহামানবরাই করেছে। ফিরে আসো আমার ছাত্রলীগ, আপন মহিমায়। কন্ট্রাক্টর, শিল্পপতি, গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক হতে পারবে, জাতির জনক, শেখ হাসিনা, তোফায়েল আহমেদ, জিল্লুর রহমান হতে পারবে না। হতে সবাই চায়, তোমাদের মাঝেও হয়তো আগামী দিনের তোফায়েল খুঁজে পাবে জাতি। আমরা গর্বিত হবো এই আশাই তো বার বার লেখি, পথে ঘাটে পাগলের মত বক্তব্য, মাদকের মতো ভয়াবহ সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় প্রতি নিয়ত যুদ্ধ করে চলছি। আমরা একদিন হারিয়ে যাবো, তোমরাই আগামী দিনের নেতা। মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে পারলে, অর্থের প্রয়োজন হয় না। এ কথা বুঝতেও মানুষের পাশে থাকতে হবে। লেখক : মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি