শিমুল মাহমুদ : [২] সোমবার রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, কোনো রকমের জনসমাবেশ যেন না হয় তার জন্য নেতা-কর্মীদেরকে দৃষ্টি রাখার আহবান জানাচ্ছি। আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের বলেছি, তারা যে অবস্থায় আছে, নিজেদেরকে সাবধান রেখে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে।
[৩] খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের তরফ থেকে যতটা সম্ভব অথোরেটির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে যেন সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ রাখা হয় তার জন্য আমরা কথা বলেছি এবং তারা আমাদেরকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে সেটা তারা করছেন। তার পরিবারের থেকে আবেদন করা হয়েছে, সম্পূর্ণভাবে মানবিক কারণে তাকে চিকিৎসার জন্য মুক্ত করা হোক। আমরা যেটা পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছি, তাকে দ্রুত মুক্ত করা হোক।
[৪] বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিলম্বে হলেও সরকার চিকিৎসা এবং জনগনকে আইসোলেটেড ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এখন এটাকে যেন নিবিড়ভাবে পরিচালনা করা হয় সেটা তাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাংলাদেশ একটা ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এই দেশে এই ধরনের ছোঁয়াচে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে দেশে এবং বিশ্বে, এটা যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়। তাহলে এটা একটা ভয়াবহ রকমের বিপর্যয়ের সম্মুখিন হতে হবে।
[৫] মির্জা ফখরুল বলেন, করোনায় সরকার তিন মাস আগে থেকে প্রস্তুত ছিলেন, যার কোনো নজীর আমরা দেখতে পারছি না। সরকার এই পর্যন্ত বলছে ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। পরীক্ষা করার জায়গা তো শুধুমাত্র একটা- আইইডিসিআর। সেই জায়গায় পরীক্ষা হচ্ছে, সবাই পরীক্ষা করতেও পারছেন না। যার ফলে কতজন রোগী ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন, কত জন এর দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন সেটার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান আমরা পাচ্ছি না।
[৬] করোনাভাইরাস রোগীর চিকিৎসার হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি, চিকিৎসক-নার্সদের প্রশিক্ষন, তাদের বিশেষ পোষাক ও পর্যাপ্ত কিট সরবারহের দাবিও জানান তিনি।
[৭] করোনাভাইরাসের কারণে গামেন্টর্স শিল্প রক্ষায় মালিক-শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থাগ্রহন এবং প্রান্তিক মানুষের জন্য ভাতা প্রদানে সরকারের প্রতি দাবি জানান মির্জা ফখরুল।