লাইজুল ইসলাম: [২] তিন মাস আগেও দিনে ৬৫ টি ফ্লাইট আসতো ও যেতো। এতে লোক হতো প্রায় ২৫-৩০ হাজার। এদের সামল দিতে সারা দিন ব্যস্ত থাকতেন শাহজালালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। নিরাপত্তাকর্মীদের কাজ ছিলো আরো গুরুত্বপূর্ণ।
[৩] দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এএইচএম তৌহিদ উল আহসান বলেন, বিমানবন্দরের কর্মচাঞ্চল্য নেই বললেই চলে। যে বিমানে যাত্রী আসা বা যাওয়ার কথা ২০০ সেখানে যাত্রী হচ্ছে ৫০-৮০ বা ৯০। এমন অবস্থায় কর্মব্যস্ততা কমে যাওয়া স্বাভাবিক।
[৪] শাহজালালের পরিচালক তৌহিদ বলেন, করোনার প্রভাবে বেশির ভাগ দেশের উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ আছে। অনেকে সংস্থা আবার বন্ধ করে রেখেছেন। এতে যাত্রী চলাচল কমেছে। বৃহস্পতিবার শাহজালালে এসেছে ২৫টি ফ্লাইট।
[৫] শাহজালালের পরিচালক বলেন, লন্ডন, ম্যানচেস্টার, দুবাই, ইস্তাম্বুল, দোহা, জেদ্দা, রিয়াদ, মালয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, শ্রিলংকা, ইন্ডিয়া, নেপাল এগুলো সরাসরি ফ্লাইট পরিচালিত হয়। এগুলোর বেশির ভাগই বন্ধ।
[৬] তৌহিদ উল আহসান আরো বলেন, রাত ১২টার পর থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ফ্লইট এসেছে ৫টি। সাধারণ সময়ে দুপুর ২টা অবদি চলাচল করে ২০-২৫টা ফ্লাইট। এতে লোকও আসতো অনেক। আগের তুলনায় লোক সংখ্যা কমেছে অর্ধেকের বেশি। যা হিসেবের বাইরে।
[৭] আহসান বলেন, এখন যে পরিস্থিতি তাতে সামনের দিনগুলোতে ফ্লাইটের সংখ্যা আরো কমে আসবে। এতে বিপুল ক্ষতির মুখে পরবে বিমান সংস্থাগুলো।