মো. আখতারুজ্জামান : [২] দেশে বর্তমানে ৩৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে অনিয়মের কারণে নাজুক অবস্থানে রয়েছে ৬টি প্রতিষ্ঠান। নতুন করে আরো কয়েকটা দুর্বল হয়েছে পড়েছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান নাজুক হওয়ার পেছনে পরিচালনা পর্ষদের দুর্নীতি ও অনিয়ম রয়েছে। এ খাতকে বাঁচাতে তাদের পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তন ও দুর্বল প্রতিষ্ঠানকে সবল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভুত করার বিষয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
[৩] জানা গেছে, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে এমওইউ স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ চুক্তি অনুযায়ী মূলধন পর্যাপ্ততা, মূলধন ঘাটতি পূরণ, ঋণের প্রবৃদ্ধি, খেলাপি ঋণ আদায় ও ব্যবস্থাপনা দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে আসতে পারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।
[৪] জানা যায়, আর কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে হারাতে চান না তারা। এগুলোকে বাঁচাতে একসাথে কাজ করছে সবাই। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পর্ষদে দুর্নীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কয়েক বছর থেকে কোনো অগ্রগতি নেই এগুলোর। তাই এ মুহূর্তে এনবিএফআই গুলোর পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
[৫] চিঠির শর্ত অনুযায়ী এমওইউ স্বাক্ষরিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত তদারকির মধ্যে রাখবে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথম ধাপে যেসব প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো হলো রিলায়েন্স ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।