শরীফ শাওন : [২] অধ্যাপক বলেন, নগরবাসীদের অনেকেই জানেন না, তারা ফুসফুস জনিত রোগে ভুগছেন। কারণ তারা পরীক্ষা করাতেও আসেন না। সামান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগ থাকলেও করোনা আক্রান্তদের জন্য তা ভয়াবহ হতে পারে। এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বয়স্ক ও গর্ভবতি মহিলারা।
[৩] কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, সাধারণত বাতাসে রোগের অনুজীবগুলো বেশিক্ষণ ভেসে থাকতে পারে না। তবে ধূলিকণার ওপর ভর করে দীর্ঘক্ষণ ভেসে বহুদুর পর্যন্ত ছড়াতে পারে করোনাসহ অন্যান্য অণুজীবগুলো। বাতাসে ধূলিকণা বাড়ার কারণে তা নাক ও মুখ দিয়ে প্রবেশে বাড়ছে হাঁচি, কাশি ও থুতু ফেলার প্রবণতা। এতে করোনা আক্রান্তের মুখে থাকা ভাইরাসটি বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে।
[৪] ড. কামরুজ্জামান বলেন, ঢাকায় সিটি করপোরেশনের আবর্জনা পোড়ানোর ২০-১৫টি ডাম্পিং সাইড রয়েছে। সারা বছর সেখানে আবর্জনা পড়ে থাকা ও পোড়ানোর কারণে বাতাসে ধূলিকণার সাথে বাড়ছে উড়ন্ত ভাইরাসের পরিমাণ।
[৫] ধুলার পরিমান কমানো খুবই সহজ মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাস্তা সংস্কার ও উন্নয়ন কর্মকান্ড চলাকালিন সময় জায়গাটি ঢেকে রাখতে হবে। রাস্তার পাশে ধুলাগুলো সাকশন ট্রাকের মাধ্যমে পরিস্কার করতে হবে। রাস্তার পাশের গাছগুলোতে নিয়মিত পানি দিতে হবে। ডাম্পিং সাইটের আবর্জনা বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষণ ও পোড়াতে হবে। দূষণমুক্ত গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
[৬] তিনি বলেন, গাড়ির দূষণ রোধ করা গেলে ৪০ শতাংশ বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। করোনায় পরিবহন সংকটে আগামী ২-৩ দিনে তা প্রমাণ করা যাবে। দূষণ কমাতে জলাধার সংরক্ষণ ও প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। ধুলা দূষণরোধ খুবই সহজ ব্যাপার। এসকল বিষয়গুলো মেনে চললে দ্রুতই ভয়বহ দুষণ থেকে পরিত্রাণ সম্ভব।
[৭] স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বুধবার (১৮ মার্চ) মুঠোফোনে এসকল তথ্য জানান। তিনি বলেন, নির্মল বায়ু আইন ২০১৯ সালে কার্যকর হলেও তার দৃশ্যমান বাস্তবায়ন নেই। এসময় সিটি করপোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিআরটিএ কে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান তিনি।