মাজহারুল ইসলাম : [২] বন্ধ হয়ে গেছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা কাজে যেতে না পারলেও বেতন তুলতে পারছেন। তবে এমন সুবিধা শুধুমাত্র সেখানকার নাগরিক ও বৈধ অভিবাসীদের জন্যে। তাই বিপাকে পড়েছেন অবৈধ তারা। বনিকবার্তা
[৩] ওই অবৈধ অভিবাসীরা মূলত ভাসমান ব্যবসা ও চুক্তিবিহীন কাজ করে থাকেন। সেখানে অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন কমপক্ষে ৫০ হাজার। এদের কারও কপালেই জুটছে না কোন রকম সুযোগ সুবিধা।
[৪] রোম, মিলান, ভেনিস, পাদুয়াসহ অন্তত ১০টি বড় শহরে বাংলাদেশিদের বসবাস। এর মধ্যে মিলানে করোনার প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করায় বাংলাদেশিরাই সবচেয়ে বেশি বিপদে রয়েছেন।
[৫] ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, সাপ্তাহিক বা মাসিক চুক্তিতে কাজ করা বাংলাদেশিদের অবস্থা খুবই খারাপ। কারণ তাদের কাছে গচ্ছিত অর্থ নেই। নেই কাজে ফেরার নিশ্চয়তা। করোনাভাইরাসের কারণে ইতালি সরকার ৫’শ ইউরো দেয়ার যে ঘোষণা দিয়েছে, সে সুবিধাও পাবেন না তারা।
[৬] বর্তমানে ইতালিতে থাকা প্রায় ২ লাখ বাংলাদেশির মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার রয়েছেন অবৈধভাবে। এখন পর্যন্ত অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিয়ে স্পষ্ট করে বাংলাদেশি দূতাবাসের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।
[৭] তবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহŸান জানিয়েছেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার। একই সঙ্গে অতিপ্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া এবং প্রয়োজন হলে দূতাবাসের হটলাইন নম্বরে (+৩৯ ৩৩৩৭৪৪১৬৯০, +৩৯ ৩৮৯৪৭৫৬৯০২) ফোন দেয়ার আহŸান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।