লাইজুল ইসলাম : [২] করোনা আতঙ্কে বেশ কিছুদিন আগে ওমরা ও ভিজিট ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব। এমন অবস্থায় শুরু মূল হজের নিবন্ধন কার্যক্রম। বেসরকারি ও সরকারি ভাবে এই কার্যক্রম প্রায় একই সঙ্গে শুরু হয়।
[৩] নিবন্ধন শুরু হওয়া ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও তেমন সাড়া পায়নি বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো। পরে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আরো ১৫ দিন নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিজ অব বাংলাদেশ হাব।
[৪] তারপরও তেমন সারা না পেয়ে হতাশ অনেক হজ এজেন্সির মালিকগণ। তবে তারা এখনো পুরো পুরি আসা ছাড়েননি। হাতে এখনো মাস খানেক সময় আছে বলে।
[৫] এরই মধ্যে শনিবার (১৪ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে আকাশ পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে সৌদি আরব। এতে আরো বেশি দুশ্চিন্তার ছাপ পরেছে এজিন্সিগুলোর ওপর। এই অবস্থায় করণীয় কিছুই বলে হতাশায় ঢুবে আছে তারা।
[৬] হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি মো. শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, হজের নিবন্ধনের ওপর সরাসরি করোনা ভাইরাসের বিরুপ প্রভাব পরেছে। তাই আমরা যেধরনের সারা পাওয়ার কথা তা পাইনি। এই কারণেই নিবন্ধনের জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে।
[৭] তসলিম বলেন, আমাদের হাতে প্রাক নিবন্ধনের লিস্ট রয়েছে সেই লিস্ট অনুযায়ী নিবন্ধন হবে। করোনা আতঙ্কে কেউ না গেলে যোর করে নেয়া যাবে না। তবে এখনও আমরা আশাবাদি হজ হবে।
[৮] শাহদাত বলেন, সৌদি আরব বিমান চলাচল বন্ধ করেছে। তবে সেটা সল্প সময়ের জন্য। এতে হজের ওপর প্রভাব পরবে না। আর যদি হজ না হয় তবে বিশাল অংকের ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হবে হজ এজেন্সির মালিকরা।
[৯] হাবের সভাপতি বলেন, সব কিছুই নির্ভর করে প্রকৃতির ওপর। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা গেলে হয়তো সারাবিশ্বে এত সমস্যা হতো না।
[১০] সকালে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপ কালে এসব কথা বলেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি মো. শাহাদাত হোসাইন তসলিম ও বিভিন্ন হজ এজেন্সির মালিক-কর্মকর্তারা।
আপনার মতামত লিখুন :