মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি প্রতিনিধি : [২] প্রায় মাস খানেক ত্রিপল বন্দি থাকার পর অবশেষে বাঁধন মুক্ত করা হয়েছে মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনা’র ডিজিটাল ঘড়ি ও ইলেক্ট্রিক ডিসপ্লে বোর্ড। ঘটনাটি ঘটেছে দেশের সর্বোচ্চ খাদ্য ভান্ডার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার খাদ্য শস্য সাইলোতে।
[৩] জানা গেছে, মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু’র স্বদেশ প্রত্যার্বতন দিবস ১০ জানুয়ারি থেকে। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর কোনটি শুধু ডিজিটাল ঘড়ি আবার কোনটি ডিজিটাল ঘড়ির সাথে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন এবং দর্শনীয় স্থানে উন্মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করেছে। এমন কর্মসুচি গ্রহনে বাদ যায়নি খাদ্য বিভাগও। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি ডিজিটাল ঘড়ি ও ডিসপ্লে বোর্ড পাঠানো হয়েছে বগুড়ার সান্তাহার খাদ্য শস্য সাইলোতেও। প্রায় মাস খানেক পুর্বে সেটি এই প্রতিষ্ঠানের ফটকে স্থাপন করা হয়। কিন্তু রহস্যময় কারনে স্থাপনের পর দিন থেকে ওই ডিজিটাল বোর্ড রেক্সিনের ত্রিপল দিয়ে মুড়িয়ে বেঁধে রাখা হয়।
[৪] অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,কে,এম আব্দুল্লা বিন রশিদ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন সাইলো অধিক্ষক মোঃ ফয়েজুল্লাহ খান শিবলির সাথে। জবাবে সাইলো অধিক্ষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এই মর্মে মিথ্যা তথ্য দেন যে, সাইলোতে স্থাপিত ওই বোর্ডটি ক্ষণ গণনার ডিজিটাল ঘড়ি ও বঙ্গবন্ধু ডিসপ্লে নয় সেটি ডিজিটাল ব্যানার, যেটি ১৭ মার্চ খোলা হবে।
[৫] পরে সাইলো কর্তৃপক্ষ এ দিন সেটির বাঁধন খুলে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এতে দেখা যায় সেটি শুধু ডিজিটাল ঘড়ি নয় সাথে বোর্ডের ডান পাশে উপড়ে মুজিব বর্ষের লোগো। বাম পাশে জাতীয় পতাকার রংয়ে তৈরি ডিজিটাল ঘড়ির নীচে বঙ্গবন্ধু এবং তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা কর্মসুচির স্থির চিত্রের ডিসপ্লে।
[৬] শুক্রবার এ ঘটনা জানাজানি হবার পর সাইলো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সরকারি দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, স্বাধীনতার সপক্ষের মানুষ এবং সুধিজন। তাঁরা বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি এবং তাঁর যোগ্য উত্তরসুরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা কর্মকান্ডের ডিসপ্লে ও ক্ষণ গণনার ঘড়ি এতো দিন ধরে বেঁধে রাখার রহস্য কি সে বিষয়ে দ্রæত তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তি প্রদান করা আবশ্যক। সম্পাদনা: জেরিন আহমে
আপনার মতামত লিখুন :