মাসুদ আলম: [২] শিশুদের মা আখতারুন্নেসা পপি জানান, স্বামী মোজাম্মেল হক বিপ্লব সংসার খরচ দিতো সামান্য, তা দিয়ে সন্তানদের লেখাপড়া ও সংসার চালানো যাচ্ছিল না। এ জন্য শুক্রবার গভীর রাতে ঘুমন্ত মেহজাবিন আলভী (১২) ও জান্নাতুল ফেরদৌসকে (৭) বঁটি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। শনিবার সকালে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে পাপি। পরে পুলিশ চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে। আলভী খিলগাঁও ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে, জান্নাত একই স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। পপিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। আগুনের তার ১৮ শতাংশ পুড়ে গেছে।
[৩] পপির বাবা আবু তালেব বলেন, তার মেয়ে বিয়ের পর নয় বছর তার সঙ্গে থাকলেও গত ২ বছর ধরে আলাদা বাসা নিয়ে থাকছেন। বিপ্লব গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে থাকেন, সেখানে তার বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকান রয়েছে। প্রতি শুক্রবার ঢাকায় আসতেন বিপ্লব, শনিবার চলে যেতেন। তবে গত সপ্তাহে আসেননি। প্রায়ই তার মেয়েকে বিপ্লব বলতেন ফকিন্নির মেয়েকে বিয়ে করার পর থেকে কোনো শান্তি নেই। স্বামীর সঙ্গে কলহ থেকে পপি গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
[৪] বিপ্লব জানান, শুক্রবার রাতে পপির সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, রোববার তিনি ঢাকায় আসবেন। এই ধরনের ঘটনা পপি ঘটাতে পারে, তেমন আঁচ করতে পারতে পারেননি তিনি।
[৫] প্রতিবেশীরা জানান, পপি প্রতিবেশীদের সঙ্গে তেমন মেলামেশা করতেন না। তিনি পর্দানশিন ছিলেন। প্রায়ই বাচ্চাদের মারধর করতেন।
[৬] খিলগাঁও থানার ওসি জানান, সন্তানদের হত্যার পর পপি আত্মহত্যা করবেন বলে তার বাবাকে জানান। দাম্পত্য কলহের কারণে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘরে আগুন ধরার কিংবা চুরি-ডাকাতির কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।