সুজিৎ নন্দী: [২] ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, নাগরিকদের সহযোগিতাই পারে নগরবাসীকে এডিস মশা থেকে মুক্তি দিতে। জনসাধারণকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের বাসাবাড়ি, ভবন এবং এলাকা নিজেরা পরিষ্কারে সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে আমাদের গাড়ি এসে সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না, কোথাও পানি জমে থাকতে দেবেন না। ডাবের খোসা, টিনের কৌটা, পরিত্যক্ত পেট বোতল, প্লাস্টিকের পট, হাড়ি, ভাঙা বা পরিত্যক্ত ফুলের টব যেখানে-সেখানে রাখবেন না।
[৩] শনিবার মিরপুরে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম উদ্বোধনে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন একথা বলেন। এই কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে এডিস মশা নিধনে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে বিশেষ ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
[৪] ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, এডিস মশার উৎপাত কমাতে ডিএনসিসি বছরব্যাপী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, যা জানুয়ারি মাস থেকেই চলমান। তবে স¤প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক জরিপে দুই সিটির বেশকিছু ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিএনসিসির পাঁচটি ওয়ার্ড রয়েছে। সেগুলো হলো- ১, ১২, ১৬, ২০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রিপোর্টের আলোকে সব ওয়ার্ডে নিয়মিত কার্যক্রমের সঙ্গে এই পাঁচটি অঞ্চলে বিশেষ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
[৫] পরে ওই এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা, কলোনি, অফিস এলাকা ও এডিস মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণ ও ধ্বংস করার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন। ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন তিতু, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহা বিনতে সিরাজসহ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :