শরীফ শাওন : [২] বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ুদূষণের মূল চার কারণের মধ্যে রয়েছে, পুরাতন যানবাহন বৃদ্ধি, উন্নয়ন প্রকল্পে অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি, কলকারখানার আধিক্য ও ইটভাটার দূষণ এবং শহরের আবর্জনা পোড়ানোর ধোঁয়া। পরিবেশবিদরা বলছেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন কাজের দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ দুই সিটি করপোরেশন। বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম এর মতে আমাদের দেশে কন্সট্রাকশনে নেই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
[৩] বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, অন্যান্য দেশে ইটভাটা ও পুরনো যানবাহন বা ধূলিঝড়ের একটি বা দুটি কারনে বায়ুদূষণ হলেও আমাদের দেশে চার কারণে দূষণ হয়ে থাকে। তাই এককভাবে কোন একটি নিয়ে কাজ করলে দূষণরোধ সম্ভব নয়। এ বিষয়ে দ্রুতগতিতে কাজ করার পরিকল্পনা প্রয়োজন। একমত প্রকাশ করেন ড. সালাম।
[৪] পরিবেশ অধিদফতর বলছে, ইতোমধ্যেই বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তার মাঝে রয়েছে বায়ুদূষণ বিরোধী অভিযান, ইটভাটা ও অনেক শিল্প-কারখানা বন্ধ, রাস্তায় পানি ছিটানো, পুরাতন গাড়ির চলাচল বন্ধ, জনসচেতনতায় লিফলেট, পোষ্টার ও বিলবোর্ড স্থাপন। অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহামেদ বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই দুষণরোধে অভিযান পরিচালনা করছি।
[৫] তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন দূষণরোধের সকল বিষয়ে সরকার কঠোর না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন ঘটবে না। চলতি মাসের ১৮ তারিখ সকাল ১০টায় বায়ুমান সূচক ৩৩২ নিয়ে দূষণতালিকার শীর্ষে ও ২৭ তারিখ সূচক ১৫১ নিয়ে অষ্টম অবস্থানে ছিল ঢাকা।
আপনার মতামত লিখুন :