মুসফিরাহ হাবীব : [২] ভারতের দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা বন্ধ করে শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন বলিউড তারকারা। তারা বলছেন, অবিলম্বে জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হোক। শান্ত হোক দেশ। ওদিকে, পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র মহলও একই বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দিল্লিতে সহিংসতার নিন্দা করেছে।
[৩] হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, বিশিষ্ট বলিউড সংগীতশিল্পী সোনা মহাপাত্র ও রেখা ভরদ্বাজ দিল্লির সহিংসতাকে ‘হৃদয়বিদারক’ আখ্যা দিয়েছেন। অভিনেত্রী শ্রুতি শেঠ টুইটারে লিখেছেন, ‘আমার দেশ জ্বালানো থামাও।’
[৪] চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের মধ্যেই দিল্লিতে চরম বিক্ষোভ শুরু হয়। গত এক দশকের মধ্যে চলমান ঘটনাবলী ভারতে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা। মঙ্গলবার থেকেই পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হতে শুরু করেছে। লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২৭ জন।
[৫] এ পরিস্থিতে মৌনতা ভেঙেছেন পশ্চিবঙ্গের বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পী মহলও। একের পর এক টুইটে সহিংসতা বন্ধ করার বার্তার পাশাপাশি, ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান, মিমি চক্রবর্তীরা। বুধবার তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে সরব হন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মতো বাংলার প্রথম সারির মুখেরা।
[৬] টুইট বার্তায় পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ‘জন গণ মন’- এর একটি স্তবক উদ্ধৃত করে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যদিকে, বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান বলেছেন, “দুঃখিত, হৃদয়বিদারক, শোকস্তব্ধ…আমার দেশ জ্বলছে। সবার আগে মনে রাখতে হবে আমরা মানুষ। দয়া করে ভুল খবর, বিভ্রান্তি ও হিংসা ছড়াবেন না।”
[৭] যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী লেখেন, “ভালো হয়েছে কবি গুরু তুমি বেঁচে নেই …কবি নজরুল ইসলাম তুমি বেঁচে নেই। কারণ মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান আর নই, মোরা রাম আর রহিম ভাই ভাই আর নই। যেটা আমরা এখন… সেটা আর যাই হোক মানুষ আর নই …”।