শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৫১ দুপুর
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ট্রাম্পের ‘জানোয়ার’ এখন ভারতে, বিব্রত আগ্রার কর্তারা

সালেহ্ বিপ্লব : সহজ বাংলায় জানোয়ার বলা গেলেও তার আসল নাম ‘দ্য বিস্ট’। এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাড়ি, বলা চলে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ বাহন। ‘দ্য বিস্ট’ ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো রাস্তায় নামে। আজ ও আগামীকাল দুদিনের ভারত সফরে এই গাড়িতেই চড়ে বেড়াবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প, তাদের মেয়ে ইভাংকা ও মেয়েজামাই জেরাড কুশনার। ট্রাম্পের আগেই অগ্রবর্তী দলের সঙ্গে ‘দ্য বিস্ট’ পৌঁছে গেছে ভারতে। ইকনোমিক টাইমস, কলকাতা নিউজ, দ্য হিন্দু

ক্যাডিলাক কোম্পানির তৈরি লিমুজিন কার এটি। বানাতে খরচ পড়েছে ১৫ লাখ মার্কিন ডলার। ট্রাম্পের আগের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অফিশিয়াল গাড়ি ‘লিমুজিন ওয়ান’কে হটিয়ে ‘দ্য বিস্ট’ জায়গা করে নেয় হোয়াইট হাউসে। এই গাড়িটি রীতমতো আর্মার্ড কার বলা চলে। স্টিল, টাইটেনিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম ও সিরামিকস দিয়ে তৈরি এই গাড়ির বডি। পাঁচ ইঞ্চি মোটা মিশ্রধাতু বানানো হয়েছে গাড়ির বডি। জানালার কাঁচ পলিকার্বনেট দিয়ে তৈরি, যাকে ভেদ করতে পারবে না কোনও গুলি বা গ্রেনেড।

গাড়িটির কোনও কাঁচই খোলা যায়না, তবে চালকের আসনের পাশের কাঁচটি প্রয়োজনে তিন ইঞ্চি খুলবে। জ্বালানী তেলের ট্যাঙ্কটি ফোম দিয়ে তৈরি, ফলে বিস্ফোরণেও সেটিতে আগুন লাগবে না বা ফেটে যাবে না। গাড়ির টায়ার স্টিল রিমের, সুতরাং ফাটার সম্ভাবনা নেই। গাড়িতে রয়েছে নাইট ভিশন ক্যামেরা, শটগান, গ্রেনেড ও টিয়ার শেল গান।

গাড়িটিকে ১৮০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঘোরাতে সক্ষম চালক। তিনি ইউএস সিক্রেট সার্ভিসের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। যেকোনও পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করার সব ধরনের ট্রেনিং রয়েছে চালকের। গাড়িতেই রয়েছে স্যাটেলাইট ফোন, সেটা দিয়ে পৃথিবীর যেকোনও প্রান্ত থেকে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, হোয়াইট হাউসে বসেই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

নিরাপত্তার খাতিরে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট নিচের ইচ্ছেমতো গাড়ি বেছে নেবেন, এ নিয়ে কারো কোনও কথা নেই। ভারত সরকারও কিছু মনে করছে না। তবে বিপাকে পড়েছে আগ্রার কর্মকর্তারা। পৃথিবীর সপ্তাশ্চার্যের অন্যতম তাজমহল এলাকায় গাড়ি চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ আছে। ভারতের উচ্চ আদালতের ১৯৯৮ সালের নির্দেশ অনুযায়ী, তাজমহল সংলগ্ন এলাকায় শুধুমাত্র বিদ্যুত বা ব্যাটারিচালিত গাড়ি চলাচল করতে পারবে।

তাজমহল এলাকায় এক কিলোমিটারেরি একটি রেলসেতু রয়েছে, যেটি বেশ জীর্ণদশায় রয়েছে। এই সেতুতে শুধুমাত্র হালকা যানবাহন চলার অনুমতি রয়েছে।

ট্রাম্পের ডিজেলচালিত ‘দ্য বিস্ট’ যখন চলবে, সেটির সামনে পেছনে থাকবে এসইউভি গাড়ির কনভয়, যা প্রচণ্ড ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন আগ্রা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্তারা। তাদের কাছে ব্যাটারিচালিত একটি বাস আছে, যেটি ইচ্ছে করলে ট্রাম্পবাহিনী ব্যবহার করতে পারেন। ২০০২ সালে বিল ক্লিনটন ওই বাসে চড়ে তাজমহল পরিদর্শন করেছিলেন। তবে ট্রাম্প যে কী করবেন, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি ভারতীয় কর্মকর্তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়