শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:৩৬ সকাল
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পলিটিক্যাল ইসলামের দৌরাত্ম্যে দেশে ইসলাম ধর্মের চর্চা, লালন-পালন ঈমান, আমল, ক্ষতিগ্রস্ত-বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে

 

মুনশি জাকির হোসেন : পলিটিক্যাল ইসলামের দৌরাত্ম্যে দেশে ইসলাম ধর্মের চর্চা, লালন-পালন, ঈমান, আমল, ক্ষতিগ্রস্ত-বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। ২১ ফেব্রুয়ারি পালনে বাণিজ্যিকীকরণে বাংলা ভাষার ক্রম অধঃপতন হচ্ছে। এমনকি অফিস-আদালত-সরকারি দপ্তরেও বাংলা ভাষাকে এক অচ্ছুৎ-নিচু জাতের ভাষা মনে করা হয়। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, সর্বত্র ইংরেজি নামে সাইনবোর্ড/নাম ফলকের আধিপত্য বিরাজমান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর নাম কেন ইংরেজিতে করা হলো? সবচেয়ে খারাপ-জঘন্য দিক হলো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষাকে নিচু জাতের ভাষা জ্ঞান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ বাংলা ভাষায় গবেষণা সম্পন্ন করেছে এটি কেউ বলতে পারবে না
২. হাজী শরীয়ত উল্লাহ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক ফতোয়া দিয়েছিলেন, পরাধীন মুসলমানদের জন্য ঈদের নামাজ ফরজ না। চলমান বাংলাদেশে, স্বাধীন দেশের ৫ দশকে এসে, ভাষা আন্দোলনের ৭ দশকে এসে ২১ ফেব্রুয়ার/ভাষা দিবস পালন এখন কার্যত অর্থহীন। আমরা কতোটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। যেখানে মাতৃভাষা/রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে নিজ দেশের সংবিধান এবং সংসদের আইন অকার্যকর/অচল। যে দেশের উচ্চ আদালতে রাষ্ট্র ভাষাকে ঘৃণা করা হয়, যে দেশের আমলা তৈরির কারখানায় জনগনের ভাষাকে নিচু জাতের ভাষা জ্ঞান করা হয় সেই দেশে তথা কথিত এই ভাষা দিবস পালন একটি নির্লজ্জ, অসহায় আত্মসমর্পণের বিষয়বস্তু। হটকারী বাঙালের আরেক অত্মশ্লাঘা হলো ২১ ফেব্রুয়ারি নাকি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

বাতির নিচে যেমন অন্ধকার থাকে তেমনি এই জাতি/এই রাষ্ট্র/এই সরকার সম্মিলিতভাবে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে নিজ দেশের আইন, আদালত, অফিস, শিক্ষালয়ে নিজ ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে। এ সব সম্মিলিত ব্যর্থতার জন্য সম্মিলিতভাবে জনগণের নিকট শর্তহীন ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। যেমনটি গত বছর প্রধান বিচারপতি করেছিলেন। এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক সংকটকে কেউ সংকট মনে করছে না। না করছে ছাত্র সংগঠনগুলো, না করছে রাজনৈতিক দলগুলো। আর আরবান এলিট, বুর্জোয়া শ্রেণি তো দূরের বস্তু। অন্যদিকে কাঠ মোল্লার দল প্রতি তিন-পাঁচ ওয়াক্ত এই ভাষা দিবস, ভাষার বিরুদ্ধে বিষোদগারের হুলিয়া জারি রেখেছে। বিভিন্ন কারণে দেশটা ভ- চাষের উর্বর ভূমি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়