শিরোনাম
◈ রাতে বাংলামোটরে জুলাই পদযাত্রার গাড়িতে ককটেল হামলা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবেলায় বাংলাদেশের চার দফা কৌশল ◈ বিআরটিএর মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা ◈ সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ হার‌লো ৭৭ রা‌নে ◈ ২০ বছরেও অধরা এমআই-৬'র ভেতরের রুশ গুপ্তচর! (ভিডিও) ◈ নারী ফুটবলের এই অর্জন গোটা জাতির জন্য গর্বের: প্রধান উপদেষ্টা ◈ প্রবাসীদের জন্য স্বস্তি: নতুন ব্যাগেজ রুলে মোবাইল ও স্বর্ণ আনার সুবিধা বাড়লো ◈ একযোগে ৩৩ ডেপুটি জেলারকে বদলি ◈ 'মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকেরা ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে' (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৫৭ দুপুর
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশে বেসরকারি খাতে ২৫ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, উৎপাদনের টার্গেট দেড় হাজার মেগাওয়াট

শাহীন চৌধুরী: গত কয়েক বছরে দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রচুর প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও সেই তুলনায় উৎপাদন বাড়েনি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিভাগের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ পর্যন্ত বেসরকারিখাতে ২৫টি সৌর বিদ্যুতের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পে মোট ১ হাজার ৫২০ দশমিক ৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে এখনও পর্যন্ত উৎপাদনে এসেছে মাত্র ৩৩ মেগাওয়াট।

সূত্রমতে, ২৫টি প্রকল্পের মধ্যে কক্সবাজার ২০ মেগাওয়াট সোলার পার্ক ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে উৎপাদনে এসেছে। পঞ্চগড়ে ৮ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি ২০১৮ সালে চুক্তি সই হয়। ২০১৯ সালে এটি উৎপাদনে এসেছে।সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি ২০১৮ সালে চুক্তি সই হলেও গতবছর কেন্দ্রটি উৎপাদনে যায়।

এ বাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ পাওয়া সহজ বিবেচনায় দেশীয় উদ্যোক্তারা বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিল। শুরুতে কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমির ব্যবস্থা আছে কিনা, সেভাবে দেখা হয়নি। ফলে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সই হওয়ার পর দেখা গেছে জমি এবং বিনিয়োগের সংস্থান হচ্ছে না।

প্রতিবেদন মতে, ময়মনসিংহে ৫০ মেগাওয়াট সোলার পার্কের ২০১৬ সালে চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালে উৎপাদনে আসার কথা থাকলেও এখন বলা হচ্ছে, তাদের আরও দুই বছর সময় লাগবে। একই অবস্থা সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ৩২ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির। এই কেন্দ্রটির চুক্তি হয় হয় ২০১৬ সালে, উৎপাদনে আসার কথা ২০১৮ সালে, কিন্তু এখন আরও দুইবছর সময় বাড়ানো হয়েছে।

জানা যায়, টেকনাফের ২০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির চুক্তি সই হয়েছে ২০১৭ সালে। উৎপাদনে আসার কথা ছিল ২০১৮ সালে কিন্তু একটি মামলার কারণে বর্তমানে কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ বন্ধ। রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ৩০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির অবস্থাও একই। ২০১৭ সালে চুক্তি সই হয়, ২০১৮ সালে উৎপাদনে আসার কথা। এখনও আসেনি। গাইবান্ধায় ২০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির চুক্তি হয় ২০১৭ সালে। ২০১৮ সালে উৎপাদনে আসার কথা। এটি এখনও উৎপাদনে আসেনি। লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ৫ মেগাওয়াট সোলার প্রকল্পটির চুক্তি হয়েছে ২০১৮ সালে। ওই বছরেই উৎপাদনে আসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত সেটিরও কোনও খবর নেই। মানিকগঞ্জ ৩৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের চুক্তি হয় ২০১৮ সালে। এটিরও উৎপাদনে আসার কোনও খবর নেই।

অপরদিকে নতুন চুক্তিগুলোর মধ্যে বড় দূর্গাপুর, মংলা ও বাগেরহাট মিলিয়ে ১০০ মেগাওয়াট সোলার পার্ক প্রকল্পের চুক্তি হয় ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৫ আগস্ট কেন্দ্রটি উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে।

এ ছাড়া পঞ্চগড়ের ৩০ মেগাওয়াট, বাগেরহাটের ১০০ মেগাওয়াট, পাবনার ১০০ মেগাওয়াট, পঞ্চগড়ের ৫০ মেগাওয়াট সোলার পার্ক, ত্রিশালের ২০০ মেগাওয়াট, মৌলভীবাজার ১০ মেগাওয়াট, জামালপুরের ১০০ মেগাওয়াট, শালডাঙ্গার ৪৭ মেগাওয়াট, ডিমলার ৫০ মেগাওয়াট, বেড়ার ৩.৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবস্থা একইরকম।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কিছুটা হলেও লাঘব হবে। সে কারনেই বিদ্যুৎ বিভাগের সঠিক তদারকির মাধ্যমে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র দ্রুত উৎপাদনে নিয়ে আসা উচিৎ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়