নুর উদ্দিন , কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড চরলেংটা গ্রামের কিশোরীকে (১৩) জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে কিশোরীটি আট মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা আহমদ উল্যাহ (৬৩) গত বুধবার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করার পর ওই কিশোরীর ভগ্নিপতি (বড় বোনের জামাই) নুর মোহাম্মদ মামুনকে (৩০) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ধর্ষক ও লম্পট ভগ্নিপতি মামুন নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চরমন্ডলিয়া গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার বাড়ীর নুরুল হকের ছেলে।
ভিকটটিম অন্তঃস্বত্ত্বা কিশোরীর পিতা আহম্মদ উল্যাহর দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ জুন তারিখের বিকেলে ভিকটিমের নিজ বাড়ীতে একা পেয়ে তাকে তার ভগ্নিপতি জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সে চিৎকার করিতে চাইলে আসামি মামুন তার মুখে হাত চেপে রাখে এবং এঘটনা প্রকাশ করলে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। ভয়ে ভিকটিম কিশোরী কাউকে কিছু বলেনি। ৪-৫মাস পর ভিকটিমের শারীরিক গঠন অস্বাভাবিক হয়ে উঠলে ঘটনা প্রকাশ পায়। ভিকটিম বিষয়টি পারিবারিক সদস্যদের সকলকে জানায়।
আসামি বাদীর বড় মেয়ে লাইলী বেগমের স্বামী হওয়ায় সংসারের অশান্তি বা সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে বিষয়টি পাবিবারিক ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। অবশেষে বুধবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের পরপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ আসামি নুর মো. মামুনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামি মামুন বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, মামলাটি দায়েরেরর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :