ইমরুল শাহেদ : গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন হয়েছে। এক বছর মেয়াদী পুনর্গঠিত এই বোর্ড থেকে বাদ পড়েছেন পরিচালক শাহ আলম কিরণ ও অভিনেতা ড্যানী সিডাক। তাদের পরিবর্তে নতুন দুই জনকে বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও পরিচালক আবদুস সামাদ খোকন। অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস সেন্সর বোর্ডে বহাল আছেন। পরিচালক শাহ আলম কিরণের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সেন্সর বোর্ডে এক বছরের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে।
তিনি বলেছেন, এক বছরে তিনি যা দেখেছেন, সেটা হলো মূলধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে কমই। কিন্তু ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে অনেক। নতুন নতুন ভাবনা নিয়ে নতুন নির্মাতারা আসছেন। চমৎকার সব বিষয়। নির্মাণশৈলীও মন্দ নয়। তবে তারা ছবিগুলো নির্মাণ করছেন নতুনদের নিয়ে, যাদের দর্শক পরিচিতি নেই। পরিচালক নতুন, ভাবনা নতুন, শিল্পীরাও নতুন, যা দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। নতুন পরিচালকরা যদি ছবিগুলো পরিচিত তারকাদের দিয়ে নির্মাণ করতেন তাহলে হয়তো কিছু দর্শক ছবিগুলো দেখত। তাতে চলচ্চিত্র শিল্পের কিছুটা হলেও উন্নতি হতো। প্রকৃতপক্ষে চলচ্চিত্রশিল্পের উজ্জীবনের ক্ষেত্রে এটাও একটা সমস্যা।
কেউ মূলধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন না। এ ধারার ছবিতে বিনিয়োগকারীও অঙ্গুলীমেয়। কিন্তু ভিন্নধারার ছবিগুলোতে কারা লগ্নী করেন বা কেন করেন - এমন প্রশ্ন সকলের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। এ বছরের শুরুতেই একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। জানা গেছে, সে ছবিটিতে কিছুটা দেরিতেই দেশে মুক্তি পেয়েছে। ভিন্নধারার এই ছবিটি আগে মুক্তি পেয়েছে বিদেশে। ছবি সংশ্লিষ্ট একজন অভিনেতা জানালেন, সে ছবিটি বিদেশ থেকে লগ্ন উঠিয়ে আরো পনের লাখ টাকা লাভ করেছে। যদি এটা হয়ে থাকে তাহলে ছবিটির সকলকেই সাধুবাদ জানাতে হয়। প্রসঙ্গত এখানে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। ভিন্নধারার ছবিগুলোতে যেসব অভিনেতা বা অভিনেত্রী কাজ করেন তাদের বেশির ভাগই কোনো না কোনোভাবে বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সে বিবেচনায় তারা সংশ্লিষ্ট ছবিকে স্পন্সর যুগিয়ে দিতে পারলেও ছবিগুলো বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারছে না, বিশেষ করে দেশীয় দর্শকের কাছে। এই দোটানার মধ্য থেকেই পিছিয়ে পড়া মূলধারার চলচ্চিত্রশিল্পকে পুনর্গঠিত করে নিতে হবে সকলে বিশ্বাস করেন।
আপনার মতামত লিখুন :