আমাদের সময় : চীনে প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। শুধু মানবদেহই নয়, ভয়ঙ্কর এ ভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ ঘটেছে অর্থনীতিতেও। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চীননির্ভর দেশগুলো রীতিমতো খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনো সময় পা হড়কে পড়ে যাবে খাদে। বাংলাদেশের শিল্প-কারখানার কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি, ভোগ্য নিত্যপণ্য, ফলমূল, ইলেকট্রনিক্সসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের বড় উৎস চীন। উদ্বেগজনক হলেও সত্যি, ভয়ঙ্কর এ ভাইরাসের জেরে চীন হয়ে পড়েছে একঘরে আর তা কঠিন আঘাত হানছে বাংলাদেশের গোটা অর্থনীতিতে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও চীনের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ। এতে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হওয়ার উপক্রম তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প। শিল্পকারখানা বন্ধ হলে কমে যাবে রপ্তানি। করোনা ভাইরাসের এ সংক্রমণ অব্যাহত থাকলে কমে যাবে উৎপাদন, বেকার হবে হাজার হাজার মানুষ। একদিকে পণ্যমূল্য বাড়বে অন্যদিকে মানুষের আয়ের পথ বন্ধ হবে। চূড়ান্তভাবে দেশের কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে না। মূল্যস্ফীতি কারণে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে; দিশাহারা হয়ে পড়বে সাধারণ মানুষ। সরকারের বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের পথেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। কারণ এসব প্রকল্পের সঙ্গে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, প্রকৌশলী ও কর্মী সম্পৃক্ত। যারা এখন প্রকল্পকাজে যোগ দিতে পারছেন না।
বাংলাদেশ যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করে, এর ২৬ শতাংশেরও বেশি চীন থেকে। দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ নির্ভরশীলতা চীনের ওপর। এ ছাড়া শিল্প পরিচালনায় দক্ষ কর্মীর বড় যোগানদাতা চীন।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. জায়েদ বখত বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাসের আঘাত কত বড় হবে, তা নির্ভর করবে কতদিন এ ভাইরাসের প্রকোপ থাকে, তার ওপর। পুরো বিশ্বই বিভিন্নভাবে চীনের ওপর নির্ভরশীল। চীননির্ভর পণ্যের মূল্য বেড়ে গিয়ে তা দেশের মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেবে। একই সঙ্গে দেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারায় আঘাত হানতে পারে।
দেশের উদ্যোক্তারা জানান, চীনের করোনা ভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পোশাকশিল্প। এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। নতুন করে আমদানি করা না গেলে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হবেন অনেকেই।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মোহাম্মদ নাসির বলেন, পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত কাপড়, সুতা, জিপার, বোতামসহ আরও অনেক কাঁচামাল। চীনের এ ভয়াবহ ভাইরাসের কারণে পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ক্রেতারাও পরিস্থিতি দেখছেন। অর্ডার অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে না পারলে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নেবেন। তিনি বলেন, আর দশ থেকে পনের দিনের মধ্যেই প্রভাব পড়তে শুরু করবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নববর্ষের ছুটির আগে অনেক পণ্য শিপমেন্ট হয়েছে।
অনেক জাহাজ এখনো বন্দরে পৌঁছেনি। ওইসব জাহাজে পাঠানো পণ্যের ডকুমেন্ট ছুটির পরে পাঠানোর কথা। কিন্তু করোনার কারণে চীনের ব্যাংক, অফিস, কারখানা বন্ধ থাকায় কিছুই পাঠাতে পারেনি। অনেকের পণ্য এসেছে কিন্তু ডকুমেন্ট না থাকায় খালাস করতে পারছেন না। আর কিছুদিন এ অবস্থায় থাকলে পোশাক কারখানাগুলো বিকল হয়ে পড়বে।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আগামী ৫ থেকে ৬ মাস যদি চীন থেকে পণ্য না আসে বা বন্ধ থাকে তা হলে রপ্তানি খাতে ১২শ থেকে ১৫শ কোটি টাকার সমূহ ক্ষতি হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)। সংগঠনটির সভাপতি মো. আবদুল কাদের খান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, চীন থেকে মোট এক্সেসরিজের প্রায় ৫০ শতাংশ আমদানি করা হয়। তবে আমাদের যে চাহিদা রয়েছে এত অল্প সময়ে কাছাকাছি দেশ ভারতসহ অন্য কোনো দেশ নেই এ সময়ে সাপোর্ট দেওয়ার। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি যদি চীনের কারখানাগুলো খুলে যায় তা হলে আমাদের চাহিদা পূরণে সময় লাগবে না।
পোশাকশিল্পের মতো অন্যান্য শিল্পও চীনের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ফেব্রিক্স, রঙ, ওষুধ, খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন শিল্পের জন্য দেশে প্রতিদিন রাসায়নিক দ্রব্যের চাহিদা রয়েছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টন; যার ৮০ শতাংশই আসে চীন থেকে। ভাইরাসের কারণে সব ধরনের রাসায়নিকের দাম ইতোমধ্যেই বেড়ে গেছে। আরও বাড়বে।
পোস্তার কেমিক্যাল ব্যবসায়ী আহমেদ মিজান বলেন, এখানে বিভিন্ন কারখানার জন্য আমরা কেমিক্যাল মজুদ রাখি। কিন্তু এখন কেমিক্যালের মজুদ শেষ। তাই দোকানই খুলতে পারছি না ঠিকভাবে। নতুন করে গোডাউনে কেমিক্যালও আনতে পারছি না। গোডাউনে কেমিক্যাল সংকট হওয়ার কারণে সরবরাহও কমে যাচ্ছে। এ কারণে হু হু করে বেড়ে গেছে প্রয়োজনীয় রাসায়নিকের দাম।
এফবিসিসিআই কেমিক্যাল ও পারফিউমারিবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বলেন, চীনের বিকল্প বাজার হিসেবে বেলজিয়াম, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কথা চলছে। কিন্তু তুলনামূলক দামে দ্রুততম সময়ে এসব দেশ প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করতে পারবে না।
বহুল ব্যবহৃত কেমিক্যালগুলোর মধ্যে কস্টিক পারঅক্সাইড অন্যতম। গত মাসে এটি বাজারে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন অনেক বেড়ে গেছে। এসিডিক এসিড ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা চুড়িহাট্টিতে আগুন লাগার আগে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া কাপড় ওয়াশের জন্য গ্লোবাল সল্ট ১৬ টাকা কেজির স্থলে ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোডা অ্যাশের দাম ৩৬ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৯ টাকা হয়েছে। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড আগে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন বেড়ে হয়েছে ১৩৬ টাকা।
‘মাদার অব অল কেমিক্যাল’ নামে পরিচিত সালফিউরিক এসিড ছিল ৪০০ টাকা কেজি, এখন ৭০০ টাকা। ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া নাইট্রিক এসিড এখন প্রতিকেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ফসফরিক এসিড এখন ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরের কার্বালিক এসিড বর্তমানে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণব্যবসায়ীদের জন্য প্রয়োজনীয় একোয়া রোজিয়া পূর্বে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে করোনার প্রভাবে নিত্যপণ্যের বাজারও চড়া হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে রসুন, আদা, দারুচিনি, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন চীনা পণ্যের দাম বেড়েছে। রাজস্ব বোর্ডের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে সমুদ্রপথে আমদানিকৃত রসুন শতভাগই আসে চীন থেকে। অন্যদিকে আমদানিকৃত আদার ৬০ শতাংশ এবং দারুচিনির ৬৭ শতাংশ আসে চীন থেকে। রাজধানীর বাজারগুলোয় খুচরা পর্যায়ে মানভেদে চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ছিল ১৫০ টাকা। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকা বলছে, বাজারে রসুনের সর্বোচ্চ মূল্য ২২০ টাকা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়ে বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়। অন্যদিকে চীনা দারুচিনির দামও প্রতিকেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪২০ টাকা।
কারওয়ানবাজারের পেঁয়াজ রসুনের পাইকারি প্রতিষ্ঠান বিক্রমপুর বাণিজ্যালয়ের ব্যবসায়ী মো. ফয়েজ বলেন, রসুনের বড় জোগান চীন থেকেই আসে। ডিসেম্বরেও সরবরাহ ঠিকঠাক ছিল। চীনের নতুন বর্ষের ছুটি ও করোনা ভাইরাসের প্রকোপÑ দুই মিলে চীনের অফিস আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রয়েছে। নতুন করে চীনের পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। বর্তমানে বাজারে যে পণ্যগুলো বিক্রি হচ্ছে আগের আমদানি করা। শিগগিরই বিকল্প বাজার থেকে আমদানি না বাড়ালে বাজারে এসব পণ্যের মজুদ শূন্যের কোঠায় পৌঁছে যাবে।
এদিকে কারওয়ানবাজারের কিচেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, চীন থেকে আমদানি বন্ধের কারণে বাজারে মাখন, কনডেন্সড মিল্ক, নুডলস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, চিপস, পিকলড ফ্রুটস, জ্যাম জেলি, বোতলজাত ফলের রস, সস (ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবলস), টমেটো পেস্ট, ফার্মেন্টড ভিনেগার, কনসেট্রেট ফ্রুট জুস, ফ্রুট সিরাপ, টমেটো কেচাপ, সলুবল কফি পাউডার, বাটারঅয়েল, হুইট ব্রান, কারি পাউডার, ফরটিফায়েড এডিবল রাইস ব্র্যান অয়েলের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। এসব পণ্যের দাম এখনো বাড়েনি। বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ দুসপ্তাহে অনেক কমে গেছে।
একইভাবে বাজারে চীনা ব্র্যান্ডের চকলেট, টফি, চুইংগাম, বলগাম ও বাবলগামসহ বিভিন্ন ক্যান্ডি আইটেমের সরবরাহ শূন্যের দিকে বলে জানিয়েছেন চকবাজারের বিদেশি চকলেটের পাইকার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক আওলাদ হোসেন।
চীন থেকে আমদানিকৃত পলট্রি ফিডস, ফিশ ফিডসসহ বিভিন্ন পেট ফুডসের মজুদও প্রায় শেষের দিকে বলে জানান রাজধানীর আনন্দবাজারের পশুখাদ্যের পাইকার প্রতিষ্ঠান নিউ মমতা স্টোরের ব্যবসায়ী আবুল মালেক। তিনি বলেন নতুন করে আর ফিডস আসছে না। পুরনো যা রয়েছে সেগুলোর দামও বস্তাপ্রতি (৪০ কেজি) সর্বোচ্চ ২০০ টাকা দাম বেড়েছে। অন্যদিকে হার্টস, হুইস্কাস, পৌ-এর মতো বিভিন্ন পেট ফুডের দামও বেড়েছে। এগুলোর প্যাকেটপ্রতি (৮০০ গ্রাম ও ৯০০ গ্রাম) ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে।
এদিকে রাজধানীর ফলের পাইকারি বাজারগুলোয় কমে গেছে আপেল, কমলা, নাশপাতি, আঙুরসহ আমদানিকৃত প্রায় সব ধরনের ফলের সরবরাহ। এর প্রভাব পড়েছে দামেও। খুচরা বাজারে ফলভেদে প্রতি কেজিতে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুট ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, জানুয়ারিতে চীনে নববর্ষের ছুটি এবং পরবর্তীতে ভাইরাসের কারণে ফল আসছে না। তাই দাম বাড়ছে। বিকল্প হিসেবে ব্রাজিল, চিলি, সাউথ আফ্রিকা ও আর্জেন্টিনাসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আমদানির সুযোগ রয়েছে আমাদের। সরকার এসব দেশগুলো থেকে আপেল, কমলাসহ অন্যান্য ফল আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিলে বাজার পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে।
করোনার ভাইরাস চোখ রাঙাচ্ছে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারেও। আমদানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, এতে সহসাই পণ্য সংকটের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক্স মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সানাউল্লাহ শহীদ বলেন, ফ্রিজ, টিভি, মোবাইল, ওভেন, চার্জারসহ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের প্রায় ৮০ ভাগই আসে চীন থেকে। কিন্তু বর্তমানে শিপমেন্ট বন্ধ।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি মো. শহীদ-উল-মুনির বলেন, কম্পিউটার খাতের অনেকটাই চীন নির্ভরশীল। এখনই বাজারে কিছু কিছু কাঁচামালের দাম বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় আরও কিছু দিন থাকলে কম্পিউটারের দাম বেড়ে যাবে।
বাচ্চাদের বাহারি খেলনা বাজারও চীননির্ভর। বর্তমানে দেশে ১ হাজার কোটি টাকার খেলনা সামগ্রী আমদানি হয়। কিন্তু খেলনার সরঞ্জাম, ব্যাটারি, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানি করে দেশেই এগুলো সংযোজিত হয়। কিন্তু গত ২৪ জানুয়ারির পর কোনো ধরনের যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। চলতি ১ ফেব্রুয়ারিতে কয়েকটি এলসি করার কথা থাকলেও বর্তমানে সেগুলো কবে নাগাদ হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেনি চিনা প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশ টয় মার্চেন্ট, ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহজাহান মজুমদার বলেন, খেলনার বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু এর পরও আমরা কাঁচামাল পাচ্ছি না। যদি চলতি মাসে চীন থেকে পণ্য আমদানি করতে না পারি তাহলে পুরো খেলনা খাতই বন্ধ হয়ে যাবে।