মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর আপহরিত বিউটি বেগমকে ছেলের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকার সাভার এলাকার পপুলার হসপিটালে বিউটি বেগমকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসে তার ছেলে আল- আমিন খান।
এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভার থানা পুলিশের সহায়তায় মামলার তদন্তকারী অফিসার পটুয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের এসআই মো. রউফ বিউটি বেগমকে উদ্ধার করেন। বিউটি বেগম পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ গ্রামের জব্বার খানের স্ত্রী। বিউটি বেগম শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়া সাভার ল্যাভ জোন ক্লিনিকে ভর্তি দেন চিকিৎসক। শারীরিক অসুস্থতার কারনে তার ছেলে আল- আমিনের জিম্মায় রাখে তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বিউটি বেগমের ছেলে আল- আমিন বলেন,আমাার মাকে কোনো আপহরণ করা হয়নি।সে দীর্ঘ মাস ধরে আমার কাছে ঢাকাতে আছে। একই গ্রামের মজিবুর মল্লিকের পরিবারকে ফাঁসাতে আমার বাবা এ মিথ্যা মামলা করেছে। আমার বাবার নির্যাতন থেকে বাঁচাতে মাকে এবং বোনদের ঢাকায় নিয়ে আসি।আমার মা আমাদের কাছে নিরাপদে আছে।
মজিবুর রহমান মল্লিকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মির্জাগঞ্জ মাজার সংলগ্ন আমার নিজ জমিতে ১৮ কক্ষবিশিষ্ট একটি একতলা মার্কেট করি। একই এলাকার জব্বার খানের স্ত্রী বিউটি বেগম ৩ বছরে চুক্তিতে ৬০ হাজার টাকা আগ্রিম দিয়ে ৫ নম্বর দোকান ঘর ভাড়া নেন। কিছু মাস পরে জব্বার খান ১ নম্বর দোকান দাবি করে,দিতে রাজি না হলে সে আমাদের নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা করে।
এমনকি তার স্ত্রী নির্যাতন সহয্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে চলে গেলে আমাদের নামে মিথ্যা অপহরণ ও গুম মামলা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের এসআই মো. রউফ বলেন, বিউটি বেগম তার ছেলে ও মেয়েদের কাছে দীর্ঘ মাস ধরে ঢাকার সাভার এলাকাতে ছিলো সরেজমিনে জানা গেছে। খবর পেয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ঢাকার সাভার এলাকার পপুলার হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় উদ্ধার করি। তার ছেলে তাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসে। বিউটির শারীরিক আবস্থা ভালো না হওয়ায় সে ওই এলাকার ল্যাভজন ক্লিনিকে ২০৫ নং কেবিনে ভর্তি আছে। একারনে তার ছেলে আল- আমিন খানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮-২-২০২০ ইং তারিখ মির্জাগঞ্জ গ্রামের মৃত মজিদ খানের ছেলে জব্বার খান তার স্ত্রীকে অপহরণ ও গুম করা হয়েছে বলে বাদী হয়ে একই এলাকার মজিবুর মল্লিক,তার স্ত্রী মিনারা বেগম,ছেলে মামুন মল্লিক ও শেলক রফিক মাঝিকে আসামি করে মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অপহরণ ও গুম মামলা দায়ের করেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ