নিউজ ডেস্ক : লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে চলতি মৌসুমে আঁখ মাড়াই শুরু হয়েছে নাটোর সুগার মিলে। ব্যবহারের অনুপযোগী মেশিন ও দক্ষ জনবলের অভাবে প্রতিবছরই লোকসান গুনছে মিলটি। আর কৃষকরা নিয়মিত আঁখ সরবরাহ করলে লোকসান কমে আসবে বলে মনে করছে মিল কৃর্তপক্ষ। তবে কৃষকদের দাবি চাষাবাদ ও বিক্রিতে নানা হয়রানির কারণে কমে যাচ্ছে আঁখ চাষ। ইনডিপেনডেন্ট টিভি
গত ১৫ নভেম্বর থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের আঁখ মাড়াই মৌসুম শুরু হয়েছে নাটোর সুগার মিলে। চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৬৩ হাজার মেট্রিক টন আঁখ মাড়াই এর মাধ্যমে মোট ১৩ হাজার ৪০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্য মিলটির। তবে মিলের বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেড়েছে মেরামত খরচ আর কমেছে উৎপাদন। এছাড়াও প্রতি বছরই পর্যাপ্ত আঁখের অভাবে গুনতে হয় লোকসান।
চাষে ব্যয়বৃদ্ধি ও বিক্রিতে দাম কমসহ হয়রানির কারণে দিন দিন অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছেন আখ চাষিরা। তবে তাদের অভিযোগ, মিল কর্তৃপক্ষ নিয়মিত আঁখের মূল্য এবং পুঁজি সরবরাহ করে না। পর্যাপ্ত আঁখ সরবরাহ হলে এবছর গতবছরের লোকসানের প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ হবে বলে জানিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ।
ওদিকে, শুধু চিনি উৎপাদন করে মিলটি লাভজনক করা সম্ভব নয় বলেও মনে করছে মিল সংশ্লিষ্টরা। তাই সুগার মিলে সংশ্লিষ্ট আরো কিছু পণ্য উৎপাদনের দাবিও তাদের।