শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:৫০ সকাল
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাঈদ খোকনকে নিয়ে বিব্রত আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড

ডেস্ক রিপোর্ট :  আওয়ামী লীগের সদ্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন। ঢাকা দক্ষিণের ২০১৫ সালের নির্বাচনে তাকে আওয়ামী লীগে মনোনয়ন দিয়েছিল। কিন্তু ২০২০- এর নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। তার বদলে শেখ ফজলে নূর তাপসকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার কারণে তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে নগদে। মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার পরপরই তাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সেখানে তাকে কাজ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু সাঈদ খোকনের যেন তর সইলো না। আজ তার একজন ব্যক্তিগত স্টাফের মাধ্যমে ঢাকা ১০ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

একজন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য একজন বর্তমান মেয়র এ ধরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের হাইকমান্ডের কারো সাথে কথা না বলেই। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এ ব্যাপারে তিনি কোন কথাই বলেননি। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।

সাঈদ খোকন নিজেও স্বীকার করেছেন যে, ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তিনি কথা বলেননি, কারণ গত দুইদিন তিনি ঢাকার বাইরে ছিলেন। এমনকি আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণের মূল কেন্দ্রে যিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সঙ্গেও তিনি এ ব্যাপারে কোন পরামর্শ করেননি।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, তিনি একজন কেন্দ্রীয় নেতা। যিনি একজন মন্ত্রীর মর্যাদায় মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। তার এমন আচরণ দলের জন্য এক ধরণের অস্বস্তি এবং বিব্রতকর। কারণ আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা ইতিমধ্যেই এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল মহিউদ্দীনকে ঢাকা ১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জন্য মোটামুটি চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। সেই অবস্থায় সাঈদ খোকন কারো সঙ্গে পরামর্শ না করে কেন মনোনয়ন কিনলেন তা নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজনই হতবাক এবং বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন।

তবে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন কেনা যেকোন রাজনৈতিক নেতার গণতান্ত্রিক অধিকার, মনোনয়ন তিনি চাইতেই পারেন। তবে ঐ নেতাই বলেন যে, সাঈদ খোকন কখনই ধানমন্ডির রাজনীতি করেননি, তিনি সূত্রাপুর-কোতোয়ালিতে থেকে ২০০১ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং সেই নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর ২০১৫ সালে তিনি মেয়র নির্বাচন করেন এবং সেটাও ঢাকা দক্ষিণে এবং তিনি সূত্রাপুর-কোতোয়ালি এলাকারই ভোটার। সাঈদ খোকনের ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বিরক্ত এবং এবারে দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় শেখ ফজলে নূর তাপস মনোনয়ন চাওয়ায় দলের নীতিনির্ধাকরা এবং স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা নড়েচড়ে বসেন এবং তাঁরা সাঈদ খোকনের বদলে শেখ ফজলে নূর তাপসকে মনোনয়ন দেবার জন্য দলের সভাপতির কাছে রীতিমত একপ্রকার চাপ সৃষ্টি করে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, সাঈদ খোকন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফের পুত্র- এটাই তাঁর একমাত্র পরিচয়। এছাড়া তিনি রাজনীতিতে নিজের স্বক্রিয়তা, যোগ্যতা দিয়ে নিজেকে উদ্ভাসিত করতে পারেননি। দলের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী রাজনৈতিক কর্মপন্থা নিরূপণের ক্ষেত্রেও তিনি যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারেননি। এবারের মনোনয়ন চাওয়া তাঁর একটি বড় প্রমাণ।

তাঁরা মনে করছেন যে, এই মনোনয়ন যখন তিনি পাবেন না, তখন আওয়ামী লীগের জন্য এটা কোন ক্ষতির বিষয় হবেনা কিন্তু সাঈদ খোকনের রাজনীতির জন্য এটা অবশ্যই একটি নেতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য যখন মনোনয়ন চেয়ে মনোনয়ন পাবেন না তখন ঐ সদস্যের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে তাঁর নেতা-কর্মীদের মাঝে অবশ্যই প্রশ্ন উত্থাপিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়