সুজিৎ নন্দী : উপন্যাসের মূল রঘু এবং প্রজাপতি, পার্শ্বচরিত্রে থেকে জমিতে পুরো উপন্যাসটি জমিয়ে তুলেছেন প্রজাপতি’র প্রথমদিকে বন্ধু রিপন। ঘটনাচক্র সম্পর্কটাকে বন্ধুত্ব থেকে প্রণয়ে রূপ দিতে চায় সে। সে আবার রঘুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। প্রজাপতিকে নিয়ে দ্বন্ধে রঘু আর রিপনের বন্ধুত্বে একটা সময় ছেদ পড়ে। রঘুকে খুনের অভিযোগে জেলে যেতে হয়। কিন্তু খুনের রঘু খুন করলেন কাকে ? উপন্যাসের এক পর্যায়ে এসে রঘুর সঙ্গে প্রজাপতির সাক্ষাৎ, সেটা গল্পের অনেকটা দেরিতে এসে। যখনই ভার্চুয়াল জগতের মন দেওয়া নেওয়া বাস্তবতায় এলো সে রঘুকে নিজে হত্যা করার জন্য অনুরোধ করলো। মোড় নিলো আরেকটি ঘটনা আর এভাবেই চলতে থাকে। এটি একটি উপন্যাস। সাংবাদিক জামশেদ নাজিমের লেখা তৃতীয় উপন্যাস।
একুশের বইমেলায় যখন নতুন বইয়ের পাতার গন্ধ ভরে গেছে ঠিক তখনই আসে সাংবাদিক জামশেদ নাজিমের নতুন একটি উপন্যাস। নাম আবেগের জলডুবি। সাংবাদিকদের লেখা বইয়ের মধ্যে এই বইটি বিশেষ ভাবে বৈচিত্র এনেছে। সাংবাদিক ও ঔপন্যাসিক জামশেদ নাজিম বলেন, এটি একই সঙ্গে কলকাতা ও একুশের বইমেলায় এসেছে। কলকাতার বইমেলায় বেশ আলোচিত হয়েছে। একুশের বই মেলায় ব্যাপক সারা পাচ্ছি। তিনি বলেন, বইটি যখন লিখতে শুরু করি তখন ধরণটি এক রকম ছিলো। পরে সংযোজন-বিয়োজন করেছি। সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি মানুষের অভুতপূর্ব চিন্তা রয়েছে। সব লেখকের নিজস্ব একটা নিজস্বতা, স্বাতন্ত্রতা রয়েছে। আর সেটা আমার মধ্যেও আছে বলে বিশ্বাস করি। এসব ভাবনা থেকেই মলাটে বন্দি করা।
‘আবেগের জলডুবি’ বইটি মূলত রোমান্টিক ধাঁচের উপন্যাস। এটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। এর প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। এটি লেখকের তৃতীয় উপন্যাস।
উপন্যাসটিতে লেখকের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতায় পুরো ঘটনা প্রবাহ বইয়ের পাতায় তুলেছেন। পুরোটাজুড়ে বারবার তৈরি হয়েছে সাসপেন্স। যা পাঠককে বাধ্য করবে পড়তে। আগ্রহ তৈরি করবে।
ব্যক্তিগত জীবনে লেখক জামশেদ নাজিম দেশের একটি প্রাইভেট টিভি চ্যানেলে সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ অনুসন্ধানী রিপোর্টিংয়ের জন্য পেয়েছেন সাগর-রুনি স্মৃতি পদক ডিআরইউ-গ্রামীণফোন রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০১৪। পেশাগত সাফল্যের পাশাপাশি লেখক হিসেবে নিজের নাম লেখালেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :