মশিউর অর্ণব: আসাম এনআরসি কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন, কেননা আদালতের নির্দেশ মেনেই তৈরি হয়েছিল ওই তালিকা। এনডিটিভি
এনআরসি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রয়োজনীয় ইমেলসমূহ গায়েব হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছেন আসামের সরকারি কর্মকর্তারা। ইচ্ছাকৃতভাবেই গায়েব করা হচ্ছে এসব তথ্য, এমনটিই মনে করছেন এনআরসির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। গত বছরের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরে যেকোনো একটি সময়ের মধ্যেই ওই তথ্য ও ইমেলগুলো ডিলিট করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সেসময় আসাম এনআরসির পরিচালক প্রতীক হাজেলাকে বদলি করে দেয়া হয় এবং তার জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হন হীতেশ দেব শর্মা। আসাম এনআরসি কর্তৃপক্ষের সন্দেহ, নাগরিকদের তালিকা তৈরির সময় আজুপি বড়ুয়া নামে যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, তিনিই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ইতোমধ্যেই পাসওয়ার্ড শেয়ার না করার অভিযোগে এনআরসির সাবেক প্রকল্প পরিচালক আজুপি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রকল্পটির কর্মকর্তারা। ভারতের রেজিস্টার জেনারেলের মাধ্যমে শীর্ষ আদালতের কাছে এবিষয়ে তদন্ত করার জন্যে অনুরোধ করবে আসাম রাজ্য সরকার।
গত বছরের ৩১ আগস্ট এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর থেকেই আসামের এনআরসি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ওই তালিকা দেখা যেতো। কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে সেই তালিকাটি আর দেখা যাচ্ছে না। যেই ১৯ লক্ষ মানুষের নাম আসামের এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল, তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :