আব্দুম মুনিব, কুষ্টিয়া : সহজলভ্যতার কারণে কুষ্টিয়ায় মাদকসেবীরা ছুটছে ফার্মেসীগুলোতে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে এসব নেশা জাতীয় ওষুধ। হেরোইন ইয়াবা গাঁজাসেবীরা এখন সহজেই ট্যাপেন্টা ট্যবলেট কিনে নেশা করছে। রাংতা এর উপরে ট্যাপেন্টা রেখে তাপ দিয়ে হেরোইনের মতই গ্রহন করা হয়। ২০ টাকার ট্যাপেন্টা ট্যাবলেট এখন যেকোন ফার্মেসীতে ৮০/১০০ টাকা দিলেই পাওয়া যায়।
এছাড়াও ঘুমের ঔষধ ও কাশির সিরাপ সহজলভ্য হওয়ায় নেশা হিসেবে ব্যবহার করছে কুষ্টিয়ার টিন এজ মাদকসেবীরা। প্রশাসনের নজরদারির অভাব ও কুষ্টিয়ার কিছু অসাধু ফার্মেসী দোকানদারদের কারনে খুব দ্রæত টিনএজ শিশু কিশোরসহ মাদকাসক্তদের কাছে ছড়িয়ে পড়ছে এই ড্রাগ। ট্যাপেন্টা ট্যাবলেটটির জেনেরিক নাম ট্যাপেন্টা ডল হাইড্রোক্লোরাইড। এটি সাধারণত অপারেশন পরবর্তি ব্যথানাশক ঔষধ হিসেবে দিয়ে থাকে ডাক্তাররা।
সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় অবৈধ ভাবে ট্যাপেন্টা বিক্রির দায়ে ভ্রম্যমাণ আদালতে জরিমানা হলেও থেমে নেই ব্যবসা। এমন কি গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে পড়ছে এই ট্যাবলেট। এদিকে পিছিয়ে নেই হোমিও ফার্মেসীগুলো। গত ১২ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া শহরে বন্ধুর জন্মদিন উৎসবে রাফি হোমিও হল থেকে স্পিরিট কিনে পান করে ৩জন তরুণ মারা যাওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিলো।
বংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি কুষ্টিয়ার সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন, স¤প্রতি ঔষধ প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছাড়া অন্য কোথাও ট্যাপেন্টা ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ। এ সংক্রান্ত চিঠি আমাদের হাতে এসেছে।
কুষ্টিয়ার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, সরকারি নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :