শিশির আলম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার পাইকোশা গ্রামে শারীরিক প্রতিবন্ধি এক কিশোরীর পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সুলতান মাহমুদ (৫৫) নামে এক মুদী দোকানদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করার কারনে থানায় মামলা করতে পারেনি প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর পরিবার।
নির্যাতিত পরিবারের অভিযোগ, গত রোববার সকালে তার শারীরিক প্রতিবন্ধি কিশোরী বাড়ির বাইরে খেলা করছিলো। এসময় বাড়ির পাশ্ববর্তী মুদী দোকানদার সুলতান মাহমুদ তাকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। ঘরের মধ্যে নিয়ে ছাগলের রশি দিয়ে পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এসময় প্রতিবন্ধী কিশোরী চিৎকার করলে ওড়না দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে।
পরে বাড়ি ফিরে এসে ঘটনাটি তার মা ও দাদাকে জানায় ওই কিশোরী। এনিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। এতে সুলতান মাহমুদ গুরুতর আহত হয়ে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসা শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সে বাড়ি ফিরে আসে।
নির্যাতিতা প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা বলেন, সুলতান মাহমুদ তাকে ডেকে নিয়ে ঘরে মধ্যে পা বেঁধে জামা-কাপড় খুলে ধর্ষণ করে। গ্রামের লোকজন ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। মুরুব্বিরা মিমাংসা করার চেষ্টা করার কারনে পুলিশকে জানানো হয়নি।
স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল বলেন, প্রতিবন্ধি কিশোরীর সাথে যে ঘটনা ঘটেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রামবাসিকে কিছুই জানানো হয়নি। পরে যখন উভয়ের মধ্যে মারামারি হয় তখন ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, প্রতিবন্ধি কিশোরী ধর্ষণের কোনো অভিযোগ থানায় করা হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা : রাকিবুল