আক্তারুজ্জামান : শিরোপা জয়ের স্বপ্ন যেনো খুব কাছে চলে এসেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের। ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছে জুনিয়র টাইগাররা। এবার ব্যাট হাতে একটু ধীরে ধীরে দেখে শুনে খেললেই শিরোপা দেশে আনতে পারবে আকবর আলীরা। যার জন্য প্রয়োজন ১৭৮ রান। কেননা শুরু ব্যাটিং করে ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তুলেছে বিরাট কোহলির উত্তরসূরীরা।
প্রথমবার বিশ্ব আসরের ফাইনাল। জুনিয়র টাইগারদের কাছে বিষয়টা একটু চাপেরই। তবে চাপহীন খেলার লক্ষ্য নিয়ে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ যুবদলের সেনাপতি আকবর আলী। ফলে শুরুতে ব্যাটিং করে ভারত।
টানা দুটি ওভার মেডেন নিয়ে বল হাতে চমকে দিতে থাকেন সাকিব ও শরিফুল। পরে প্রথম ওভারেই সাফল্য পান অভিষেক দাস। ৭ বলে ২ রান করে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ধরা পড়েন দিব্যনাস সাক্সেনা। ৯ রানে প্রথম উইকেট শিকারের পর ভারতের হয়ে ক্রিজে থিতু হন যশস্বী জয়সওয়াল ও তিলক ভার্মা। ৯৪ রানের জুটি গড়ে ভারতকে বেশ এগিয়ে নিচ্ছিলো এ জুটি। তবে সাকিব তা হতে দেননি। ৩৮ রান করে ভার্মাকে শরিফুলের হাতে ক্যাচ বানান সাকিব।
পরে ক্রিজে এসে জয়সওয়ালকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক প্রিয়ম গার্গ। কিন্তু ৭ রানেই তাকে থামিয়ে দেন বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল।তানজিদ তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গার্গ। এরপর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জয়সওয়ালকে ৮৮ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরান শরিফুল। ওই ওভারেই সিদ্ধেশ ভীরকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন শরিফুল। পরে সেটা আর হয়নি। কিন্তু রান বাড়াতে পারেনি ভারত।
৫ উইকেটে ১৬৮ রান থেকে বাকি ৫ উইকেটে মাত্র ৬ রান তোলে ভারতীয় যুবারা। ইনিংসের শেষদিকে এসে আবারও ভারত শিবিরে আঘাত হানেন অভিষেক। একই ওভারে অথর্ব ও কার্তিককে ফিরিয়ে উল্লাসে মাতে টাইগাররা। বাকি কাজ সারেন
বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক দাস ৩টি, শরিফুল ২টি, সাকিব ২টি ও রকিবুল একটি করে উইকেট নেন। বাকি দুটি ছিলো রান আউট।