কূটনৈতিক প্রতিবেদক : শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শামীমা বেগমের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।সে ব্রিটেনে জন্মগ্রহণ করেছে। তার মা ব্রিটিশ। তবে শামীমার বাবা বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছিলেন কিন্তু তিনি ব্রিটিশ নাগরিক।
এই রায় নিয়ে বাংলাদেশের কোনো মাথাব্যথা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য তাকে আশ্রয় বা নাগরিকত্ব না দিলে তিনি রাষ্ট্রহীন নাগরিক হবেন, সেটা তাদের ব্যাপার। শুধু চেহারায় মিল থাকার কারণে কাউকে বাঙালি বলার কোনো যুক্তি নেই।
এদিকে ব্রিটেনের স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিল কমিশন বলেছে, শামীমা বেগম রাষ্ট্রহীন নন। বংশানুক্রমিকভাবে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। তাই তার বৃটিশ নাগরিকত্ব বাতিল আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন নয়। শামীমাকে আপিল কমিশন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে ওই রায়ে।
২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে কথিত জিহাদের লক্ষ্যে বৃটেন ছেড়ে সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন শামীমা বেগম। বর্তমানে তার বয়স ২০ বছর। বর্তমানে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রোজোনামের এক শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছেন। শামীমার সাথে তিন সন্তান ছিল, যারা কেউ বেঁচে নেই।